‘যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ প্রবাদকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্তত করোনা ইস্যুতে কোনও আপাস করেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার, বুক ঠুকে সংসদে জানালেন শাসক দলের মন্ত্রী। করোনা ভাইরাসের জেরে জারি থাকা লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হওয়া ঘরের ফিরতে না পারা এবং পরিষেবা সংক্রান্ত আতঙ্কের জন্য ভুয়ো খবরকেই ভিলেন বানাল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানাল, অতিমারী পরিস্থিতিতে অভাবী, দুঃস্থ এবং নিরুপায়দের জন্য ঠিক যতটা প্রয়োজন, ততটাই করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক দূরে সরিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংসদে শুরু হয়েছে বর্ষাকালীন অধিবেশন। মঙ্গলবারের অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রস সাংসদ মালা রায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সোজা কার্যত বুক বাজিয়ে উত্তর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। ভরা কক্ষে তিনি দাবি করেন, সমস্যা ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে বলেও সংসদে জানান রেড্ডি।এমনকি হিসেব রাখাও হয়নি বলে এমন জবাবে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন শ্রম মন্ত্রক জানিয়েছেন যে লকডাউনে কতজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে? সেই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান তারা সংগ্রহ করেনি। সেই কারণে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কেন্দ্রীয় সরকার কি পরিযায়ীদের সমস্যা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি জবাব আসেনি। মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ার বলেন যে সবাই মিলে কেন্দ্র, রাজ্য, পৌর ও পঞ্চায়েত প্রশাসন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থারা মিলে করোনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। এদিন শ্রম মন্ত্রক বলে যে মোট ১.০৪ কোটি মানুষ ফিরেছেন বাড়ি লকডাউনে। এর প্রায় ৬০ লক্ষ ফিরেছেন উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও রাজস্থানে। ৪৬১১টি বিশেষ শ্রমিক ট্রেন চালিয়েছে কেন্দ্র ও প্রায় ৬৩ লাখ মানুষ নিজেদের ভিঁটেতে আসেন এই ট্রেনে। যারা বাড়ি ফিরেছেন তাদের কর্মসংস্থানের জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় শ্রমমন্ত্রক।