বন্ধ হয়েছিল লোকাল, এখনও চালু হয়নি। তার আগেই নয়া ফরমান আরপিএফের। যার জেরে আরও বেকায়দায় পড়তে পারেন তারা, যারা মূলত ট্রেনে হকারি করেন। শনিবার হাওড়া আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট ডিভিশনের প্রতিটি পোস্ট ইন্সপেক্টরকে একটি লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন। যেখানে সাফ বলা হয়েছে, চলন্ত ট্রেনে হকার উঠলেই সংশ্লিষ্ট পোস্টের ইন্সপেক্টরকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধরে নেওয়া হবে, এতে তাঁরই মদত রয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এমন নির্দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরপিএফ বিভাগে। এর ফলে ট্রেনে হকারি আটকাতে গেলে তাদের অতি সক্রিয় হতে হবে। আর তার জেরে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা। কারণ, গত ১৭ অগস্ট ব্যান্ডেল শাখায় আরপিএফের একটি বিশেষ দল হঠাত্ করেই হকারদের ধরপাকড় শুরু করে। ওইদিন বৈঁচিগ্রামে আরপিএফকেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গোটা ঘটনায় সাতজন হকারকে গ্রেফতার করে আরপিএফ। হাওড়ার সিনিয়র ডিএসসি অজয় প্রকাশ জানিয়েছেন, রেল চত্বরে হকারি বেআইনি। এই মর্মে রেলের নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তা সত্ত্বেও হকাররা জোরজুলুম করে ব্যবসা করে চলেছে। তিনি বলেন, ‘ইদানিং হকারদের অত্যাচার নিয়ে রেলের যাত্রীদের অভিযোগ আসছে। ফলে হকারদের সরানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, অ্যান্টি হকিং স্কোয়াডের কর্মীসংখ্যা ইতিমধ্যেই ১২ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। যদিও সেই স্কোয়াড এখনও নামানো হয়নি। যদি পোস্ট ইন্সপেক্টররা ব্যর্থ হয়, তবে ওই স্কোয়াড নামানো হবে। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলছে না। হাওড়া ডিভিশনে হাতেগোনা কয়েকটি প্যাসেঞ্জার, মেল এবং স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। ফলে হকারদের অত্যাচার নিয়ে রেলের অভিযোগ মানতে নারাজ আইএনটিটিইউসি। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, ‘লকডাউনের কোপে পড়ে এমনিতেই হাজার হাজার হকার অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তার ওপর এমন ফরমান কখনও মেনে নেওয়া যায় না। রেল পুলিশের এই নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করে তুলব।’