দেশ

বিদেশ থেকে ফিরলে আর থাকতে হবে না কোয়ারেন্টাইনে, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার

দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। জানুয়ারির প্রথম দিকে যেখানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক সংক্রমণ কমে ষাট হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। আর তাই বিদেশ থেকে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে যে সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিলে সেই নিয়মাবলীর ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হল, এরপর আর বিদেশ থেকে ফিরলে ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বিশেষ থেকে আসার পরের ১৪ দিন নিজের শরীরের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে যদি কারোর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাঁকে শেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।  এই প্রসঙ্গে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের তরফ থেকে জারি করা হবে। বৃহস্পতিবার সেকথা জানানো হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।  কেন্দ্রের নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, এরপর থেকে বিদেশ থেইকে আসার পরে কোনও নাগরিককেই আর ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তার জায়গায় কেন্দ্র এই মুহূর্তে ১৪ দিনের শেল্ফ মোনিটারিং-এর ওপর জোর দিয়েছে। অর্থাৎ এরপর থেকে নিজেদেরই নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে যে এর আগে বিমানে ওঠার আগে যে বাধ্যতামূলক করোনা পরিক্ষার ইয়ম ছিল তার ক্ষেত্রেও আনা হচ্ছে বড়সড় পরিবর্তন। কেন্দ্রের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে করা করোনার রিপোর্ট ‘এয়ার সুবিধা’ পোর্টালে আপলোড করার পরেই কেউ বিমানে ওঠার অনুমতি পাবেন। তবে যদি কেউ করোনা রিপোর্টের পরিবর্তে করোনা টিকার পাথমিক শংসাপত্রের ছবি আপলোড করেন তাহলেও তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে জানানো হয়েছে, দেশে ফেরার পরে যদি কারোর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ দেখা যায় তবেই তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তার আগে পর্যন্ত আর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম থাকছে না।