কলকাতা

‘চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য’, রাজভবনে এসে বললেন ইসরো চেয়ারম্যান

কলকাতার রাজভবনে এসে গগনযান প্রকল্প নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা শোনালেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ৷ বুধবার কলকাতায় রাজভবনে ‘বিজ্ঞান ও বিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসে এ কথা বললেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ । ইসরো প্রধান বলেন, আগামীতে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য আছে । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গগনযান । যে গগনযানের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে তাঁকে পুনরায় সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য আমাদের । বুধবার কলকাতার রাজভবনে শুরু হওয়া গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্টের ত্রয়োদশতম অধিবেশনে অংশ নিয়ে চন্দ্রযান 3-এর সাফল্য ও পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য অর্জনের জন্য রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এ দিন তাঁকে গভরর্নরস এক্সেলেন্স আওয়ার্ড প্রদান করেন । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজেই 2 লক্ষ টাকা মূল্যের একটি চেক তুলে দেন সোমনাথের হাতে । এই সম্মান পেয়ে তিনি আপ্লুত বলে জানালেন ইসরো প্রধান । তিনি তাঁর সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন । এস সোমনাথ বলেন, এই সম্মান আমাদের আরও দিনরাত এক করে কাজ করার শক্তি জোগাবে ।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান ইসরো চেয়ারম্যান । চন্দ্রযান 3-এর সাফল্যের পিছনে যে পরিশ্রম ছিল, সে বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি । জি 20 নামে একটি স্যাটেলাইট আগামীতে মহাকাশে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন । জি 20 শীর্ষ সম্মেলনের শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ কথা ঘোষণা করেছিলেন । এ বিষয়ে ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, জি20 স্যাটেলাইট শুধু জি20 তালিকাভুক্ত দেশ নয়, বরং গোটা পৃথিবীর স্বার্থে কাজ করবে । সেই ভাবেই প্রস্তুতি চলছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শান্তি এবং বৈশ্বিক বিষয়, পরিবেশ, সংস্কৃতি, মানবসম্পদ বৃদ্ধির দিকটি খেয়াল রাখা হবে । গ্লোবাল এনার্জি পার্লামেন্ট একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা । 2010 সালে তা প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিইপি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, সুইৎজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা-সহ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সেশন পরিচালনা করেছে । জিইপি বিশ্ব প্রজ্ঞা ট্রাস্ট দ্বারা সংগঠিত একটি দাতব্য সংস্থা । যা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের পরামর্শমূলক মর্যাদা ধারণ করে ।