দেশ

পুরীর রথযাত্রায় পদপিষ্টের হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী

গুণ্ডিচা মন্দিরের সামনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের ৷ আহত হন অনেকেই ৷ রবিবার ভোরের এই ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ৷ এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক বর্তমান বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ৷ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি-সহ বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই পরিস্থিতিতে একগুচ্ছ প্রশাসনিক পদক্ষেপ করল ওড়িশা সরকার ৷ পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর সোয়াইন এবং পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়ালকে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি দুই পুলিশ কর্তা ডিসিপি বিষ্ণু পাটি এবং কমান্ড্যান্ট অজয় পাধিকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ খুরদার জেলাশাসক চঞ্চল রানাকে পুরীর নয়া জেলাশাসক হিসাবে নিযুক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পুরীর নয়া এসপি হয়েছেন পিনাক মিশ্র ৷ পদপিষ্টের ঘটনা কীভাবে ঘটল, তার প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ ডেভেলপমেন্ট কমিশনারের নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে ৷ ভক্ত ৷ মহাপ্রভুকে দেখতে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ৷ ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি, পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে ৷ মৃত্যু হয় দুই মহিলা-সহ 3 জনের ৷ আহত হয়েছেন অনেকেই ৷ তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর ৷ আরেকটি নির্দেশিকায় প্রশাসনিক দফতর ঘোষণা করেছে, এবার থেকে রথযাত্রার পুরো বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকবেন প্রবীণ আমলা অরবিন্দ আগরওয়াল ৷ আগে তিনি রথযাত্রা পরিচালনা করেছেন ৷ এই মুহূর্তে তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরের কমিশনার তথা সচিব ৷ এছাড়া ক্রীড়া দফতরের বিশেষ সচিব পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অরবিন্দ ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক সোশাল মিডিয়ায় গাফিলতির কথা তুলে ধরে লিখেছেন, “রথযাত্রায় বহু ভক্ত আহত হয়েছেন ৷ ভিড় সামলানোর যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না ৷ এতেই বোঝা যাচ্ছে সরকার শান্তিপূর্ণ রথযাত্রা আয়োজনে ব্যর্থ ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পদপিষ্টের ঘটনার সময় ভক্তদের সমাগম সমাগম সামলানোর মতো যথেষ্ট সরকারি ব্যবস্থা ছিল না ৷ এটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় ৷” লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “পুরীতে রথযাত্রার সময় ভিড়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের ৷ শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল ৷ আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন ৷ ওড়িশা সরকারের কাছে আবেদন, উদ্ধারের কাজে গতি আনুন ৷ কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের বলব, তাঁরা যেন সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ৷ এই দুঃখজনক ঘটনা সতর্কবার্তা দিচ্ছে- এরকম বড়সড় আয়োজনে সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আগে থাকতে একটা সমীক্ষা করে নেওয়া উচিত ৷ প্রাণের দাম সবার উপরে ৷ এই দায়িত্বে কোনও অবহেলা গ্রহণযোগ্য নয় ৷”