জেলা

জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার আরও এক, ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত অভিযুক্তের

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার আরেক অভিযুক্ত ৷ এই নিয়ে ৪ অভিযুক্তকে এই মামলায় গ্রেফতার করল জয়নগর থানার পুলিশ ৷ শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বকুলতলা থানার ২২ হাঁটা এলাকা থেকে রবিউল সরদারকে পাকড়াও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। রবিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমার আদালতে পেশ করা হয় ৷ রবিউলের বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই খুনের ঘটনার কিনারা করতে চান তদন্তকারীরা ৷ তাই বারুইপুর মহকুমা আদালতে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে জয়নগর থানার পুলিশ । সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে অভিযুক্তকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে একের পর এক অভিযুক্তরা গ্রেফতার হচ্ছে । গতকাল এই খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রবিউলকে আমরা গ্রেফতার করেছি । এই ঘটনার সঙ্গে আরও অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা সেটাই জানতে পারব । দোষীদেরকে গ্রেফতার করে আইনানুগ উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব । প্রসঙ্গত, কালীপুজোর পরদিন বাড়ির কাছে একটি স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন জয়নগরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর । এই তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলুয়াখাকি নস্করপাড়া এলাকা ৷ গ্রামবাসীদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটে সেখানে । তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনায় বেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় অন্যতম অভিযুক্ত শাহরুল শেখ । ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বারুইপুর পুলিশ জেলার জেলা পুলিশের হাতে । অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই খুনের ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড আনিসুর লস্কর ও সঙ্গীদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ । অভিযুক্তদের দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পান তদন্তকারীরা । জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানতে পারেন, এই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত রবিউল সর্দারের নাম । তাঁর বাড়ি জয়নগর থানার অন্তর্গত কাশিপুর এলাকায় । অভিযোগ, তৃণমূল নেতার খুনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন এই রবিউল । বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদেরকে টাকাও দিয়েছিলেন তিনি ।