ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খান খুনের ঘটনায় এবার কলকাতা পুলিশের জালে আরও এক ব্যক্তি । সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । ধৃতের নাম রফিকুল খান । এই নিয়ে এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে মোট পাঁচ জনকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ । লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে মোট ৫ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাদের জেরা করে যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে চার্জশিট দেওয়া হবে । মূলত পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের । এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, “সোমবার রাতে এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদ থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাকে মঙ্গলবার আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে ৷” মূলত রেজ্জাক খান খুনের ঘটনায় গত রবিবার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আজহারউদ্দিন মোল্লা, জাহান আলি খান ও রাজু মোল্লাকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ । সোমবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় । তাঁদের নিজেদের হেফাজতে পান তদন্তকারীরা । এর আগে তৃণমূল নেতা খুনের পর রবিবার দলেরই নেতা মোফাজ্জেল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । তাকে জেরা করেই মূলত বাকি তিন অভিযুক্তদের হদিশ পান তদন্তকারীরা । এরপর সোমবার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল ৷ কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার ভাঙড়ে নিজের বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বের মধ্যেই খুন হন তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খান । এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায় তার জন্য ঘটনার দিন সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বয়ং কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা । সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার-সহ একাধিক আধিকারিকরা । সেখানে দাঁড়িয়েই নগরপাল বলেছিলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।” আর তারপরেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে পুলিশ ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পাঁচ জন ধরা পড়লেও তৃণমূল নেতা খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটির হদিশ পাওয়া যায়নি ।


