কলকাতা

Lok Sabha Election 2024 : দেড় মাস ধরে চলবে নির্বাচন, বাংলায় ৭ দফায় লোকসভা ভোট নিয়ে খুশি বিরোধীরা

সাতদফায় বাংলা লোকসভা ভোটে নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। তবে বিরোধীরা এতে খুশি। এনিয়ে বিমান বসু বলেন, কিছু করার নেই। বাংলা সম্পর্কে ধারনা খুব খারাপ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। বাংলার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার জন্য রাজ্যের শাসক দল যে ভূমিকা নেয় সে সম্পর্কে অবহিত হয়েই বোধহয় ওরা এটা করেছে। এটা বাংলার পক্ষে গর্বের নয়। সাতদফায় ভোটে খুশি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বেশি দফাতে ভোটই চেয়েছিলাম। যত রকম সন্ত্রাস এক দফাতেই করার পরিকল্পনা হয়ত তৃণমূল করেছিল। আমার মনে হয়েছে অনেক বেশি দফায় ভোট করলে অনেক বেশি মানুষকে নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশনারকে আগের দিনই বলে এসেছিলাম, শুধুমাত্র ২ দিন আগে ফোর্স দিলে মানুষের মনে নিরাপত্তা বোধ বাড়বে না। নিরাপত্তাবোধ বাড়াতে গেলে অনেক আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। কমিশনের কাছে আবার যাব। যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনেক আগে থেকেই বাংলায় মোতায়েন করা যায়। বাংলার ভোট নির্ঘণ্ট নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা বার বার বলেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই নির্বাচন একটি বা দু’টি দফায় হোক। কিন্তু দেখলাম আগের মতোই ৭ দফায় নির্বাচন ঘোষণা করা হল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে। যেখানে দেশেরই অনেক বড় বড় রাজ্যে এক বা দু’দফায় ভোট মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, স্বশাসিত সংস্থাগুলিও চলছে সরকারের ইশারায়। বারবার অভিযোগ উঠেছে মোদি জমানায়। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণার পর ফের সেই অভিযোগ জোরাল হওয়া শুরু করল। বিরোধীদের ধরনা, লোকসভা ভোটের সূচি এত দীর্ঘায়িত করায় আসলে বাড়তি সুবিধা পাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার । সেই ব্যবস্থাই করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন! চলতি লোকসভা ভোট হচ্ছে ৭ দফায়। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ১৯ এপ্রিল। শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে ১ জুন। সব মিলিয়ে ৪৪দিন ধরে চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। যা ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। কারণ ভোট যত দীর্ঘদিন ধরে চলবে, প্রচারের খরচ তত বাড়বে। ভোট প্রচারের জন্য জনসভার খরচ, সোশাল মিডিয়ার প্রচারের খরচের, সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের খরচ, সবটাই দীর্ঘদিন ধরে চালাতে হবে। যা ফলে অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির জন্য সমস্যার।