মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হলে প্রতাপ সিমহাকে ছাড় কেন? কেন তাঁকে এখনও বহিষ্কার না করে, জামাই আদর করা হচ্ছে। উল্টে যাঁরা সংসদকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। সংসদ তো বিরোধীদের বলার জায়গা, এখানেও কেন কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তাহলে কি সংসদকে মজার মুল্লুক বানিয়ে শুধু বিজেপি থাকবে? নিজেদের পাপ ঢাকতে আর কতো নাটক করবে বিজেপি? যে বিজেপি সাংসদ পাশ দিল সে কী করে এখনও সংসদে বসে আছে? লোকসভার নিরপেক্ষ ভূমিকা কোথায়? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও মহীশূরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ফের কড়া পদক্ষেপের দাবি তৃণমূলের। দিল্লি থেকে কলকাতা, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের দাবি, যে জঙ্গি কায়দায় সংসদে হামলা চলেছে, আগে থেকে আঁচ করতে ব্যর্থ গোয়েন্দারা, তার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। নতুন ভবনের নিরাপত্তাহীনতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতবড় কাণ্ডের পর মুখ না লুকিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? মহুয়া পাসওয়ার্ড দিল বলে সাসপেন্ড করা হল, যদিও দোষ প্রমাণিত হয়নি এখনও। কিন্তু বিজেপির সাংসদ হামলাকারীদের পাস ইস্যু করল, তাও বহিষ্কার করা হল না কেন? এটা দ্বিচারিতা। যাঁরা ঘটনার প্রতিবাদ করে প্রশ্ন তুললেন, সেই ১৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। ঘটনার দিন ৩০১ জনের বদলে কেন ১৭৬ জন নিরাপত্তা কর্মী ছিল। নিরাপত্তা নিয়ে দলবাজি হচ্ছে। এ রাজ্যের চার আনা বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন। নিরাপত্তা কেন ভাঙবে? গ্যালারি অব্দি পৌঁছানো মুখের কথা নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত। যিনি পাস দিয়ে দুষ্কৃতী ঢোকালেন তাঁকে জামাই আদর করা হচ্ছে।


