বিতর্ক শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর প্রশ্নটা উঠেছিল আরও জোরালো ভাবে- করোনা টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি কেন? বিরোধী দলগুলির তরফে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল বলেও সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই কোভিড প্রতিষেধকের শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোভিড শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি সরানো হয়েছিল। কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক সোশাল মিডিয়ায়। ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট একটি নির্দেশে জানিয়েছিল, সরকারি খরচে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে কোনও নেতা-মন্ত্রীর ছবি দেওয়া চলবে না। কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে তা পুনর্বিবেচনা করা হয়। ২০১৬ সালে শীর্ষ আদালত জানায়, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেওয়া যাবে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেই কোভিড টিকার শংসাপত্রে গত চার বছর ধরে মোদীর ছবি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ২০২১ সালে কেরল হাই কোর্টে একটি মামলাও হয়েছিল। আবেদনকারী পিটার ময়ালিপারম্পিলের দাবি ছিল, তিনি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দু’টি করোনা টিকা নিয়েছেন। তার জন্য দাম দিতে হয়েছে। তাই, তাঁর শংসাপত্র ব্যক্তিগত তথ্যযুক্ত ‘নিজস্ব পরিসর’। সেখানে অনুপ্রবেশ মানে ব্যক্তি-পরিসর লঙ্ঘন করা। কেরল হাই কোর্টে আমেরিকা, ইজরায়েল, জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশের কোভিড টিকার শংসাপত্রের ছবিও পেশ করেছিলেন পিটার। জানিয়েছিলেন, ওই দেশগুলির কোভিড টিকার শংসাপত্রে কোনও রাষ্ট্রনেতার ছবি নেই।