বৃহস্পতিবার নিমতার বিরাটিতে অটোর সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে এক যাত্রীর মৃত্যু হল। ওই ঘটনায় আরও পাঁচজন জখম হয়েছেন। তাঁদের কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়। ষাটোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধের বাড়ি নিমতা থানা এলাকাতেই।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এদিন দুপুরে, বিরাটির এমবি রোডে। যাত্রী নিয়ে একটি অটো যশোর রোড ক্রসিংয়ে বিরাটি মোড় থেকে বিরাটি স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। এমবি রোডে ওষুধ নিয়ে যাওয়া একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ওই অটোর সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় লোকজন চলে আসেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিস এবং নিমতা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, অটোর সামনের ডানদিকের অংশের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সামনের বাঁদিকের ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার জেরে অটোচালক সহ অটোর মোট চারজন জখম হন। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামলবাবুর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনায় পিকআপ ভ্যানের চালক ও খালাসিও জখম হয়েছেন। তাঁরাও চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, পৃথক একটি দুর্ঘটনার প্রতিবাদ করায় দমদম সেন্ট্রাল জেল মোড়ে আক্রান্ত হলেন এক বাইক আরোহী। এ ব্যাপারে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, বুধবার তাঁরা বাইক করে বিমানবন্দরের দিক থেকে নাগেরবাজারের দিকে আসছিলেন। একটি চার চাকার গাড়ি বেপরোয়া গতিতে এসে তাঁদের বাইকে ধাক্কা দেয়। কোনওরকমে প্রাণে রক্ষা পান তাঁরা। গাড়িটিকে পাকড়াও করার জন্য বাইক আরোহী পিছু ধাওয়া করেন। দমদম সেন্ট্রাল জেল মোড়ে এসে বাইক আরোহী ওই গাড়িটির দেখা পান। গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে গাড়ির ভিতরে থাকা লোকজন ওই বাইক আরোহীকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।