আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের পর বুধবার বারাসত। বারবার তিনবার। প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এল সেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। যে প্রসঙ্গ তুলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলা নারীশক্তির বিরাট বড় প্রেরণা কেন্দ্র। এই বাংলায় তৃণমূল মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করে ঘোর পাপ করেছে।” এরপরেই তাঁর অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে যে কোনও লোকের মাথা নিচু হয়ে যাবে।” আর সন্দেশখালিতে মহিলাদের প্রতিবাদ যে শুধু ওই দ্বীপ অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না তা বলতে গিয়ে মোদির দাবি, “নারীশক্তির এই ক্রোধ সন্দেশখালিতেই আটকে থাকবে না। গোটা বাংলায় ঝড় উঠবে।” লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বাংলার বিজেপিকে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বললেন। শুক্রবার ৮ মার্চ বিশ্ব মহিলা দিবস। বুধবার বারাসতে “নারী শক্তি বন্দন” নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই জনসভার মূল উদ্যোক্তা ছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা। সভায় বক্তব্য পেশ করতে
গিয়ে এদিন নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য শুরু করেন “জয় মা কালী ও জয় মা দুর্গা” বলে। তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়েই এদিন ছিল নারী শক্তির বিকাশ নিয়ে। এই প্রসঙ্গেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ও সেখানে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের নাম না করে নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন, “অভিযুক্তকে বাঁচানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্তু হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সব জায়গায় ধাক্কা খেয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল কখনই মা-বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না।” এমনকী বিপদে পাশে দাঁড়াতে মহিলা হেল্প লাইন বানালেও রাজ্যে শাসকদল তা চালু করতে দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন তিনি।অন্যদিকে তাঁর সরকার নারীদের সুড়ক্ষা ও উন্নতিতে কতটা সচেষ্ট সেই উদাহরণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “কেন্দ্র ধর্ষণের মামলায় ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করেছে। বিজেপি সরকারের জন্যই দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ মহিলাদের জন্য রাস্তা খুলে যাচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে দেশে বিজেপি বিরোধী আইএনডিআইএ বা “ইন্ডিয়া” জোটকে আক্রমণ করে তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র মহিলাদের উন্নতিতে প্রকল্প আনলেও ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলি যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানে তারা প্রকল্পগুলি চালু করতে দিচ্ছে না। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পরিবার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তাঁদেরকে তিনি জানাতে চান দেশের মা-বোনেরা তাঁর পরিবার।