পঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তায় গাফিলতি সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকেও তুলোধনা করে। বিচারপতি হিমা কোহলি কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেন, এমন ধারনা তৈরি করা হচ্ছে, তাতে আগে থেকেই মনোভাব তৈরি করে ফেলা হয়েছে। সেই কারণে কেন আদালতে এসেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে অপর বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছএন, কেন্দ্রের শোকজ নোটিশও বিতর্কিত। পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তায় গাফিলতির ঘটনায় ৪ সদস্যের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া কমিটিতে থাকবেন চণ্ডীগড়ের ডিজিপি, এনআইএ-র আইজি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পঞ্জাবের অতিরিক্ত ডিজিপি। এর নেতৃত্ব দেবেন সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে হওয়া শুনানিতে এদিন এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, আগে থেকেই সফর চূড়ান্ত ছিল। পথের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সঙ্গে সঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সবসময়ই বিকল্প পথ ভেবে রাখা হয়। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় রওনা দেয় ডিজিপি এসপিজিকে রুট ক্লিয়ার রয়েছে, তা বলার পরেই। সলিসিটর জেনারেল বলেছেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণে। যেখানে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তার ১০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। যার দায় ডিজিপির বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেদিনের ঘটনাকে এসপিজি আইন এবং ব্লু বুক আইনের অমান্য করা হয়েছে বলে সওয়ালে বলেছেন তুষার মেহতা। ৫ জানুয়ারি বুধবার ভাতিন্ডা বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে ফিরোজপুর যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সড়কপথে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভারস্থল থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে ফ্লাইওভারের মুখে কৃষকদের বিক্ষোভের কারণে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে পড়ে। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির তরফে পঞ্জাব সরকারকে নিশানা করা হয়েছিল। পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে পঞ্জাব সরকারের আইনজীবী বলেছেন, এই মামলায় রাজনীতি জড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে তারা বিচার পাবেন না। কীভাবে কেন্দ্র নোটিশ জারি করতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল পঞ্জাব সরকারের। আদালতের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি করা হয়েছিল পঞ্জাব সরকারের তরফে।