দেশ

সংসদে গ্যাস হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী

সংসদে গ্যাস হামলা নিয়ে মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজনীতি নয়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সংসদে হানা দেয় দুজন। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দিনভর বৈঠক করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও চলে বৈঠক। বৈঠকে জে পি নাড্ডা, প্রহ্লাদ যোশীও ছিলেন। মন্ত্রীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী, এই ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। এটা নিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বেন না। সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এদিকে এই ঘটনার জেরে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করে চলছে তদন্ত।   ধৃতদের মধ্যে রয়েছে সাগর শর্মা, ডি মনোরঞ্জন, নীলম দেবী এবং অমোল শিণ্ডে। সংসদের বাইরে লাল এবং হলুদ গ্যাস ছড়ায় অমোল শিণ্ডে এবং নীলম দেবী। বাকি দুজন লোকসভা কক্ষে ঢুকে দর্শকাসন থেকে ঝাঁপ দেয় এবং হলুদ গ্যাস স্প্রে করে। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে ললিত ঝা, ভিকি শর্মা। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়েছেন, সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি করা চলবে না। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই ধরণের ঘটনা এড়াতে সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম রাজনৈতিক তরজার মধ্যে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে এই ধরণের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।আজ সংসদের উভয়কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয় ইন্ডিয়া জোট। প্রবল স্লোগানের মধ্যে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় দুই কক্ষ। রাজ্যসভা থেকে অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বাধীকার কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় মোট ১৪ জনকে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করছে বিরোধীরা। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস ৮ জন, ডিএমকে ২, সিপিএম ২, সিপিআই ১ এবং তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন।