কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকী । কিন্তু কোন ঝুঁকি নিল না রাজ্য প্রশাসন। আগামীকাল মিছিলের অনুমতি দেওয়া হলো না ।আইএসএফ নেতা তথা ভাঙ্গরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ সহ একাধিক দাবিতে বুধবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালবাজার থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বুধবার একটি ব্যস্ততম দিন। বহু মানুষ সারাদিন কর্মে ব্যস্ত থাকবেন। তাই ওই দিন জনবহুল শিয়ালদহ এলাকা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না । এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে জরুরী বৈঠক ডাকেন রাজ্যের মুখ্য সচিব সেই বৈঠকে কলকাতা পুলিশ সহ জেলার পুলিশকর্তাদের কাছ থেকে আইএসএফের আগামী দিনের মুভমেন্ট প্রসঙ্গে রিপোর্ট চাওয়া হয়। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে মুখ্য সচিব কলকাতা পুলিশকে বুধবারের মিছিলকে কেন্দ্র করে গোলমাল রুখতে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশ ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে লালবাজার থেকে জানিয়ে দেয়। এদিকে রাজনৈতিক ধারণা বৃহস্পতিবার সাধারণতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো রাজ্যে রয়েছে। ঠিক তার আগের দিন রাজ্যবাসী যখন সরস্বতী পূজোর কেনাকাটাতে ব্যস্ত থাকবে ,সেই সময় শহরের বুকে মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে তাতে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে। তাই কলকাতা পুলিশ গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্টের ভিত্তিতে মিছিলের অনুমতি বাতিল করে দেয় এদিকে গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার ওই মিছিল করতে যদি না দেওয়া হতো তাহলে শিয়ালদহ এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল উদ্যোক্তারা। শুধু তাই নয়, ধর্মতলা এলাকাতে মিছিল পৌঁছানোর পরে সেখানেও প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে রাস্তা অবরোধ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। যার দরুন শহরের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হত। সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশ বলপ্রয়োগ করলে শুরু হতো ফের খন্ড যুদ্ধ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মদতে আইএসএফ তাদের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরে যে গোলমাল পাকানোর ছক কষছিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালবাজার তাদের মিছিলের অনুমতি বাতিল করে সেই ছক ভেস্তে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। এদিকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা মহল সূত্রের খবর ,বুধবার মিছিল করার জন্য কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় ভাঙ্গড় থেকে আই এস এফ এর সমর্থকদের শহরে সন্ধ্যের পর এনে রাখা হয়েছে ।