পুরীর শঙ্করাচার্য উপস্থিত থাকবেন না রাম মন্দির উদ্বোধনে। তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগদান করার আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছেন। স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী জানিয়েছেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন, সেটাই এক্ষেত্রে একটা ফ্যাক্টর। সনাতন হিন্দুধর্মের শীর্ষ ধর্মগুরুরা মনে করছেন, মোদিই থাকবে অনুষ্ঠানের একেবারে প্রথম সারিতে। এর ফলে সনাতন শাস্ত্রের দিকটি অবহেলিত হবে। পাশাপাশি খুব তাড়াহুড়ো করে এই মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে। মন্দির পুরোপুরি তৈরি না করেই রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা শাস্ত্রবিরুদ্ধ। স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর আরও দাবি, মোদি সরকারের এই প্রচেষ্টা আসলে কোনও পবিত্র মন্দির নয়, এক সমাধিকে ঘিরে। এখানে রাজনীতির প্রবেশ ঘটেছে। তাই তিনি এর থেকে দূরে থাকবেন। দেশের চার শঙ্করাচার্য আগেই জানিয়েছেন, তাঁরা রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন না। কয়েকদিন আগে পুরীর শঙ্করাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্দির উদ্বোধন করবেন। সেখানে আমি গিয়ে কী করব। আমি কি শুধু দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়ার জন্য যাব? শনিবার গঙ্গাসাগরে তিনি বলেন, আমার পদমর্যাদার কারণেই আমি ওখানে যাব না । কিছু কিছু হিন্দু সংগঠন থেকে বলা হচ্ছে যাঁরা রাম মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন না, তাঁরা অহিন্দু। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কাউকে রামমন্দির উদ্বোধনে যেতে বারণ করছি না। যাঁদের ইচ্ছা হবে, তাঁরা অবশ্যই যাবেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্মাদের মতো ব্যবহার করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন তীর্থস্থানকে সরকার পর্যটন ক্ষেত্র তৈরি করে ফেলছে। আর এর ফলে তীর্থস্থানের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। মানুষ তীর্থ করতে যায় ওখানে মানুষ ঘুরতে যায় না। এ ভাবে ধর্মের সঙ্গে ভোগ বিলাসকে এক করে ফেলা ঠিক নয়। তাঁর মতে, রামমন্দির নিয়ে যে ধরনের রাজনীতি শুরু হয়েছে তা ঠিক নয়।


