দেশ

নিজের রাজনৈতিক দল নয়, বড় পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন পিকে

৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হাঁটব, মানুষকে বোঝাব জন সুরজ সম্পর্কে

জল্পনা ছিল, নিজের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করবেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, রাজনৈতিক দলের কথা যা রটেছিল, তা সত্য নয়। তিনি কোনও রাজনৈতিক দল করছেন না। তবে, বিহারের জন্য নিজের বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। পিকের নয়া সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই অনুমান রাজনীতিবিদদের একাংশের! এদিন প্রশান্ত কিশোর বলেন, ”৯০ শতাংশর বেশি মানুষ বিহারের জন্য নতুন কিছু ভাবছে। আমি কোন রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক মঞ্চ ঘোষণা করছি না। আগামী দিনে আমি পদযাত্রা করব, ৩ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হাঁটব ,জন সুরজ সম্পর্কে বিহারের মানুষ জানতে চাইলে তাদের বাড়ি যাব, অফিসে যাব।” তিনি এও বলেন, গান্ধিজয়ন্তীর দিন থেকে তিনি গোটা বিহার ঘুরবেন। সমস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। ভোটকুশলীর সংযোজন, ”আগে মানুষের সঙ্গে কথা বলব। মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেয়, যে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল তৈরি হবে, কিন্তু সেটা কখনই প্রশান্ত কিশোরের নয়।”তিনি বলেন, ”বিহারে কোন নির্বাচনে লড়ব, কার সঙ্গে যোগ দিয়ে লড়ব, এরকম ভাবার অবকাশ নেই। এমন কোনও পরিকল্পনা নেই এখন। বিহারে এখন কোনও নির্বাচন নেই, আর যদি নির্বাচনে লড়ার হত ,তাহলে এক বছর আগেই এসে রাজনৈতিক দল তৈরি করে লড়তাম, আমি ৪ বছর আগে থেকে কাজ শুরু করেছি।” তিনি জানান, বিহারের রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সব ধরনের ১৮ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে।গত তিনদিনে বেশকিছু মানুষের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সকলের পরামর্শ অনুযায়ী রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হতে পারে।” প্রশান্তের অভিযোগ, বিহার অনেক গৌরবময় রাজ্য, কিন্তু এখানে শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। বিহারকে নতুন মডেল করতে গেলে নতুন চিন্তা ভাবনা নতুন ভাবে সবাইকে একজোট হতে হবে। গত কয়েক দশক ধরে বিহারে লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমারের সরকার চলেছে। কিন্তু এখনও বিহার দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার টুইটে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রে অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকারী হতে এবং জনগণের পক্ষে নীতি গঠনে সহায়তা করার জন্য আমার অনুসন্ধান গত ১০ বছরে রোলারকোস্টার রাইডের মতো পরিচালিত হয়েছে! এবার পাতা উল্টানোর সময়। উল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে, প্রকৃত ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার সময়, জনগণ, গণতন্ত্রকে আরও কাছ থেকে বোঝার সময় এসেছে। যার জন্যই জন সূরজ- মানুষের সুশাসন শুরু #বিহার থেকে।’