দেশ

বিজেপি সরকারের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে কেদারনাথ মন্দিরের পূজারীদের নির্জলা উপবাস করে প্রতিবাদ

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত চার ধামের বোর্ড আরও বড় করে গঠন করছেন। বিজেপি সরকারের এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে এবার কেদারনাথ মন্দিরের পূজারীরা। কেউ লাগাতার শীর্ষাসনে রয়েছেন, তো কেউ নির্জলা উপবাস করে প্রতিবাদ করছেন। দাবি মূলত একটাই, দ্রুত উত্তরাখণ্ড চারধাম দেবস্থানাম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড প্রত্যাহার করে নিতে হবে। কেদারনাথ মন্দিরের পুরোহিত আচার্য সন্তোষ ত্রিবেদী হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় শুরু করেছেন শীর্ষাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সাত দিন ধরে এভাবেই থাকব। যদি রাজ্য সরকার ওই বোর্ড প্রত্যাহার না করে তাহলে সাত দিন পর আরো বড় আন্দোলনে নামব।’ প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই কেদারনাথ মন্দিরের পূজারীরা বোর্ড প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত রবিবারই পুরোহিতরা নির্জলা উপবাস করেছিলেন। তাঁদের মতে, চারধাম যাত্রা-সহ গোটা ব্যবস্থাপনাটি দেখভালের জন্য রাজ্য সরকার যে বোর্ড তৈরি করেছে, তা পুরোহিত ও মন্দিরের চিরাচরিত নিয়ম-রীতির বিরোধী।উত্তরাখণ্ড সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন এই বোর্ড কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রীতে আগত পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে অনলাইনে পুজোর বুকিং, মন্দিরে বিগ্রহের অভিষেক-সহ যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত আগে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এলে ওই বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। কিন্তু বোর্ড প্রত্যাহারের বদলে তা আকারে আরও বাড়ানো হচ্ছে। এখানেই আপত্তি কেদারনাথ তীর্থ পুরোহিত সমাজের। তাঁদের হুঁশিয়ারি, আপাতত মৌন প্রতিবাদে আন্দোলন সীমাবদ্ধ রয়েছে। শীঘ্রই বোর্ড কমিটি প্রত্যাহার না করা হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।