কলকাতা

২ ঘন্টার জন্য বন্ধ হাওড়া ব্রিজ ও স্ট্র্যান্ড রোড

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করতে আজ, শুক্রবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে বৃহস্পতিবার রেসকোর্স ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুটে মক ড্রিল করে এসপিজি। এদিকে, এই ট্রায়ালের জেরেই বস্তুত বিপর্যস্ত হতে হয় পথে নামা সাধারণকে। বেলা ১২টা পর্যন্ত কার্যত বাদুড়ঝোলা বাসই ছিল নিত্যযাত্রীদের সম্বল। ফলে আজ, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির দিন, হাওড়া স্টেশনকে ঘিরে চলাচল করা সাধারণ মানুষকে যে নাকাল হতে হবে, তা সহজেই অনুমেয়।   এদিন নির্ধারিত সময়সূচি মিলিয়ে ডামি কনভয় নিয়ে এসপিজির ট্রায়াল চলে। স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে হাওড়া ব্রিজে পৌঁছয় সেই কনভয়। তারপর ডামি কনভয় বঙ্কিম সেতু দিয়ে নিউ কমপ্লেকস হয়ে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যায়। এরপর ৪১ মিনিটের একটি বাফার টাইম নেওয়া হয় অনুষ্ঠানের সময়ের অনুরূপে। ফের হাওড়া নিউ কমপ্লেকস থেকে নিউ ক্যাব রোড হয়ে বঙ্কিম সেতু এবং সেখান থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে স্ট্র্যান্ড পৌঁছে যায় কনভয়। তখন ১১টা ৫৭। কনভয় পেরনোর সময় রাস্তা পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তাতেই যেন দম বন্ধ হয়ে আসে বাস সার্ভিসের। হাওড়ার দিক থেকে মাছবাজারের সামনে এবং সালকিয়া স্কুল রোডের এন্ট্রান্স বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্ট্যান্ডের মুখে আটকে দেওয়া হয় বাসগুলিকেও। ডামি কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পরে অবশ্য তা খুলেও দেওয়া হয়। কিন্তু দু’বার মিলিয়ে মিনিট ১৫ বন্ধ থাকতেই উপচে পড়ে যাত্রীর চাপ। বাস না পেয়ে ব্রিজের ফুটপাত ধরে হেঁটে কলকাতা পৌঁছতে হয় বহু মানুষকে। বাস চালু হওয়ার পরে প্রায় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল বাদুড়ঝোলা পরিস্থিতি। এতেই আজকের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ আশঙ্কিত। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রেড রোডে এসপিজির একটি গাড়ি শহরের এক ডাক্তারের গাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। যদিও এই ঘটনায় বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।  
সূত্রের খবর, আজ প্রধানমন্ত্রী হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর ১০ মিনিট আগেই বন্ধ করে দেওয়া হবে ব্রিজসহ দুই শহরের সমস্ত অ্যাপ্রোচ রোড। যদিও বাস্তবে একঘণ্টা আগেই বন্ধ করা শুরু হবে। ফলে বাস পেতে বা গঙ্গা পেরতে মানুষের দুর্ভোগের সম্মুধীন হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজের ফুটপাতও। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ ও উত্তরমুখী স্ট্র্যান্ড রোড পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে বন্ধ থাকছে না দ্বিতীয় হুগলি সেতু। 
হাওড়ায় শুধু স্টেশন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বেই থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার কমপক্ষে তিন আধিকারিক। এসিপি থাকবেন সাত-আটজন। সব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে হাজারের কাছাকাছি পুলিস মোতায়েন থাকছে। সবদিক খতিয়ে দেখতে স্টেশন চত্বরে থাকবেন হাওড়ার পুলিস কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত দেড় হাজার পুলিস। দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার ১৪ জন আধিকারিক, ২৪ জন এসিপি, ৬০ জন ইনসপেক্টর এবং ১৬৫ জন এসআই।