নিউটাউন শহরের ঝাঁ চকচকে শপিংমলে চলছিল স্পা সেন্টার। ওই স্পায়ের আড়ালে দেহ ব্যবসার চক্রের হদিশ পেল বিধাননগর কমিশনারেট। গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা সেখানে আচমকা হানা দিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে তিনজন তরুণী রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই স্পায়ের অন্য কোনও শাখা রয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ওই স্পা সেন্টার সম্পর্কে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-১ (সি) এলাকায় রয়েছে ওই শপিংমল। শহরের অভিজাত এলাকা। ওই মলের দোতলায় ছিল ওই স্পা সেন্টার। স্পা’য়ের আড়ালে দেহ ব্যবসা তথা মধুচক্র চালানোর অভিযোগ ছিল। কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা শনিবার সন্ধ্যায় ওই মলে হানা দেন। সেখানে তখন তরুণী এবং কাস্টমার মিলিয়ে প্রায় ২০ জন ছিলেন। অফিসাররা তাঁদের সবাইকে আটক করেন। তারপর অবৈধভাবে দেহ ব্যবসার কারবার চালানোর অভিযোগে তিনজন তরুণী এবং সাতজন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউটাউন থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, যে তিনজন তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বাড়ি যথাক্রমে রাজারহাট, নারায়ণপুর ও ইকোপার্ক থানা এলাকায়। ধৃত যুবকদের বাড়ি বাগুইআটি, কেএলসি, দমদম, নিউটাউন, ভদ্রেশ্বর (হুগলি), বাঁকুড়া এবং টেকনোসিটি থানা এলাকায়। স্পা সেন্টারের আড়ালে দেহ ব্যবসার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বিধাননগরে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী, বাড়ি ভাড়া নিয়েও দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল নিউটাউনে। এছাড়াও, অভিনয়ের নামে নিউটাউনের নামী হোটেলে আচ্ছন্ন করে পর্নোগ্রাফি শ্যুটিং করার মতো অভিযোগও উঠেছে অতীতে।