বিদেশ

সিংহাসনে বসলেন রাজা তৃতীয় চার্লস!

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বিশ্বের তাবড় নেতারা। রানির মৃ্ত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ সরকার৷ অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে জাতীয় পতাকা। রাজপ্রাসাদের বাইরে শয়ে শয়ে ব্রিটিশ নাগরিক শোকে মূহ্যমান হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে চলেছেন। এক মুহূর্তে যেন গোটা দেশ মাতৃহারা হওয়ার শোকে ডুবে গিয়েছে। রানির মৃত্যুতে বদলে গেল অনেক কিছুই৷ বদলে গেল দেশের মুখও। রাজসিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারের নাম ঘোষিত। প্রথামাফিক ঘোষনা করা হয়েছে, রানির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রাজা৷ রাজা হলেন তাঁর পুত্র চার্লস৷ ‘রাজা’ হলেন বটে, তবে এখনই চার্লসের রাজ্যাভিষেক হচ্ছে না। এমনিতেই সিংহাসনে বসতে তাঁকে কয়েক যুগ অপেক্ষা করতে হয়েছে৷ ধৈর্য ধরতে হবে আরও কয়েকমাস৷ বৃহস্পতিবার রাতে রানির প্রয়াণের সংবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বাকিংহাম প্যালেস৷ রাজপরিবারের রীতি অনুযায়ী, রানির মৃত্যুর ঠিক পরেই তাঁর উত্তরসূরিকে সিংহাসনে বসতে হয়। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রথা অনুযায়ী পুত্র চার্লস রাজ সিংহাসনে বসেছেন। রাজপদে বসার জন্য ৭৩ বছর বয়সি চার্লসকে প্রায় গোটা জীবনই অপেক্ষা করতে হল। চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা রানির মর্যাদা পেলেও রাজপরিবারের প্রথা অনুযায়ী তিনি সার্বভৌম ক্ষমতা পাবেন না। মাত্র দুদিন আগেই রানির হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া লিজ ট্রাস শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, আধুনিক ব্রিটেনের রূপকার ছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ট্রাসের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার তুলে দেওয়াই ছিল রানির শেষ সরকারি কাজ। তাঁর মৃত্যুতে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের সুসজ্জিত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। দেশজুড়ে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস আজ, শুক্রবার প্রথম ভাষণ দেবেন।