ফের একবার নিহত অগ্নিবীরের পরিবারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে সরব রাহুল গান্ধি। সরকারের উদ্দেশে ফের আক্রমণ শানিয়ে কংগ্রেস সাংসদের দাবি, কর্মরত অবস্থায় নিহত অগ্নিবীরদের এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যা। রাহুলের যুক্তি, জীবন বিমা বাবদ প্রাপ্ত টাকাকে কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য বলে দেখাতে চাইছে। অগ্নিবীর নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুলের মুখে ফের একবার নিহত অজয় কুমারের উদাহরণ। চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২৩ বছরের অগ্নিবীর অজয়ের। সেই নিয়ে সংসদে রাহুলের মন্তব্যের পর থেকে উত্তাল দেশের রাজনীতি। শুক্রবার রাতে সেই নিয়ে আবারও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন রায়বরেলির সাংসদ। ভিডিওতে অজয় কুমারের বাবার বক্তব্যও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ছেলের মৃত্যুর পর বেসরকারি ব্যাঙ্ক ICICI থেকে জীবন বিমা বাবদ ৫০ লাখ টাকা পান তাঁরা। আর্মি গ্রুপের বিমা তহবিল থেকে আরও ৪৮ লাখ টাকা হাতে আসে। সবমিলিয়ে ৯৮ লাখ টাকা হাতে পেয়েছেন তাঁরা। তবে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য় বলে যা দাবি করা হচ্ছে, সেই টাকা তাঁরা পাননি। অজয়ের বাবা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে সব সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত আমাদের। পেনশন চালু হওয়া উচিত। ক্যান্টিনের কার্ড পেলেও ভালো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দাবি করেছেন, শহিদের পরিবারকে এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু, আমরা তা পাইনি।’ ভিডিয়োয় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ছয় মাস কেটে গিয়েছে, শহিদ অজয় সিংজির পরিবার আজ পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পায়নি। এখনও ওঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। আর্থিক সাহায্য এবং জীবনবিমার মধ্যে তফাৎ রয়েছে। আজ পর্যন্ত টাকা দেওয়া হল না কেন? বেতন এবং এরিয়ার বাবদ কোনও অর্থ জমা পড়ল না কেন?’ রাহুল আরও বলেন, ‘আসল কথা হল, দেশে দু’ধরনের শহিদ রয়েছেন। সাধারণ জওয়ান এবং অগ্নিবীর। শহিদ দু’জনই হবেন, কিন্তু স্বীকৃতি পাবেন একজনই। একজন পেনশন, ক্যান্টিন পাবেন, অন্য জন এগুলির কোনওটিই পাবেন না। সরকার যাই বলুক না কেন, এটাই সত্য। দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের সমান সম্মান প্রাপ্য। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সেনার বিষয়, আমি এগুলি নিয়ে সুর চড়াবই।’