আজ বিভিন্ন শ্রমিক, কৃষক ও গণ সংগঠনগুলি পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। যদিও কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাতেই সকাল থেকে গণপরিবহণ মোটের উপর স্বাভাবিক বলেই জানা যাচ্ছে। রয়েছে যাত্রীদের ভিড়ও। তবে সকাল হতে না হতেই কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। বাধা দেওয়া হচ্ছে রেল চলাচলেও। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিঘ্নিত হচ্ছে রেল চলাচলে। মধ্যমগ্রাম স্টেশনে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ারও অভিযোগ উঠছে। তবে মেট্রো এখনও স্বাভাবিক বলে. জানা গিয়েছে। এছাড়া দমদম স্টেশনের কাছে, বারাসতের চাঁপাডালির মোড়, রুবির মোড় সহ শহরের অনেক জায়গায় পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, খবর পাওয়া যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বন্ধ বেসরকারি বাস। ধর্মঘটীরা বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে শামিল। দোকানপাট, হাটবাজার খোলা। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম। সকালেই ৪১নম্বর জাতীয় সড়কে নিমতৌড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু। উত্তরবঙ্গে জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে পথ অবরোধ। ধর্মঘট পালনে কোচবিহারে একটি সরকারি বাস ভাঙচুর পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করল বনধ সমর্থকরা । ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে তারা । দলীয় পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বাম ও কংগ্রেস সমর্থকদের । উত্তর ২৪পরগনার মধ্যমগ্রামের পুলিশের সামনেই গায়ের জোরে দোকান বনধের অভিযোগ উঠল বনধ সমর্থককারীদের বিরুদ্ধে । ঘটনার জেরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় । পাশাপাশি বনধ সফল করতে যশোর রোডে শুরু হয় অবরোধ । যার জেরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই রোডে । দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ । সকাল থেকে ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘট সফল করতে রাস্তায় নামেন বনধ সমর্থককারীরা । জেলার কোথাও সড়ক ও ট্রেন অবরোধ, আবার কোথাও ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি চলে। মধ্যমগ্রাম চৌমাথার ঠিক পাশে একটি রেস্তরাঁয় শাটার জোর করে নামিয়ে দেন বনধ সমর্থনকারীরা । সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে কার্যত দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায় । ধর্মঘটের সমর্থনে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের মিছিল ও অবরোধ হয়েছে ।এছাড়া বেলঘড়িয়া স্টেশনে এক নম্বর লাইনে আটকানো হল আপ কল্যাণী সীমান্তকে ৷ অন্যদিকে বনগাঁ-বাগদা সড়কে পাইকপাড়ায় অবরোধ করে বামেরা । রাস্তায় বেঞ্চ পেতে স্লোগান দেন বাম কর্মী-সমর্থকরা ৷ ট্রেড ইউনিয়ন ও গণ সংগঠনের ডাকা বন্ধে সারাদিন রাস্তায় থেকে ধর্মঘট সার্থক করা হবে বলে জানান কৃষক সভার নেতৃত্ব ৷ অন্যদিকে সকাল থেকে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে শামিল ধর্মঘটের সর্মথকরা । হুগলি স্টেশনে রেললাইনে অবরোধ করেন ধর্মঘটীরা। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলে, ফলে আটকে পড়ে বর্ধমান মেইন লাইনের লোকাল ট্রেন । পরে রেলপুলিশ অবরোধ তুলে দিলে পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু হয়।জলপাইগুড়ি জেলা জজকে আদালতে ঢুকতে বাধা বাম ও কংগ্রেসের সমর্থকদের । পুলিশের সাথে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি । হাওড়ার শানপুর ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে 6 নম্বর জাতীয় সড়ক করল ধর্মঘট সমর্থকরা । উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে পাথরবৃষ্টি বনধ সমর্থকদের । বনগাঁ-শিয়ালদা শাখার লোকাল ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা হয় । অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা জজকে আদালতে ঢুকতে বাধা বাম ও কংগ্রেসের সমর্থকদের । পুলিশের সাথে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি ।নিউটাউনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ । লেকটাউনের যশোর রোডে পথ অবরোধ বামেদের । ধর্মঘটের সমর্থনে ডোমজুড় স্টেশনে অবরোধ । লাইনের উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে ট্রেন চলাচল আটকে দেয় CPI(M) কর্মীরা ।