অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সেই সঙ্গেই শুরু হয় বিদ্য়ুতের ঝলকানি। ঝড়বৃষ্টি হল হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায়। অন্য দিকে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামেও হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নদিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারেও হয়েছে বৃষ্টি। সব জায়গাতেই বৃষ্টির সঙ্গে চলেছে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ৭৪ কিলোমিটার। রাত ৮টা ৫৯ মিনিটে ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৭ কিলোমিটার। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার সময় বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। কলকাতার রাস্তায় তৈরি হয় তীব্র যানজট। বাস, ট্রেন ধরতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। শহরের বেশ কিছু রাস্তায় গাছ পড়ে যায়। সল্টেলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে উপড়ে গিয়েছে গাছ। শিয়ালদহ দক্ষিণে বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। ভোগান্তি বৃদ্ধি পায় নিত্যযাত্রীদের। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে, আচমকাই নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত ভালুকা, চর ব্রহ্মনগর, রোড স্টেশন, চাপড়া, আন্দুলিয়া এবং কৃষ্ণনগর এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ। কিছু গাছ ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক তারের উপর। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়ি। গাছ পড়ে থাকার কারণে নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর ও করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে বেশ কিছু ক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় রাস্তা থেকে সরানো হয় গাছপালা। বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সেখানে কমলা সতর্কতা জারি। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায়। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা।বুধবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলারই কিছু অংশে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায়। সেখানে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আগামী শুক্রবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।