দেশ

৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জিএসটি কমল করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ-সামগ্রীতে, তবে ভ্যাকসিনে ছাড় মকুব নয়, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

একাধিক রাজ্যের চাপে শেষপর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হল কেন্দ্র। শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা চিকিৎসার ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর থেকে জিএসটি দর কম করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের হয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে শনিবারের বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হল, কোভিড ভ্যাকসিনে আগের মতোই ৫ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করা হবে। করোনা কালে অতি প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা মাপার সব যন্ত্রে কমল জিএসটি। আগে এই যন্ত্রগুলিতে কর দিতে হত ১৮ শতাংশ হারে। এবারে সেটা কমিয়ে করা হল ৫ শতাংশ। একইভাবে বৈদ্যুতিক চুল্লিতেও জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমে হল ৫ শতাংশ। অ্যাম্বুল্যান্স ক্রয়ের ক্ষেত্রেও জিএসটি বেশ খানিকটা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। যা আগে অনেকটাই বেশি ছিল। পালস অক্সিমিটারেও জিএসটি কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পণ্যগুলির উপর এই পরিবর্তিত জিএসটির হার কার্যকর থাকবে। তারপর আগের হারেই কর দিতে হবে এই পণ্যগুলি। অর্থমন্ত্রীর দাবি, এর ফলে করোনা চিকিৎসার খরচ একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।

জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলি দেখে নিন একনজরে-

ভ্যাকসিনের উপর জিএসটি মকুব নয়, আগের মতোই ৫ শতাংশ কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত

রেমডেসিভির, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের উপর ৫ শতাংশ।

টোসিলিজুম্যাম, অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধে ৫ শতাংশ থেকে করমুক্ত করে দেওয়া হল।

রেমডেসিভির, হেপারিনের মতো ওষুধের উপর জিএসটি কমিয়ে ১২ থেকে ৫ শতাংশ করা হল।

অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের উপর, ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপ মেশিনের উপর জিএসটি কমে হল ৫ শতাংশ।

কোভিড টেস্টিং কিটে জিএসটি ১২ থেকে কমে ৫ শতাংশ।

অ্যাম্বুলেন্সে উপর জিএসটি কমিয়ে ২৮ থেকে ১২ শতাংশ করা হল।