প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে লালবাজারে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করলেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও, বৈঠকের আলোচনায় ‘সন্তুষ্ট’ নন বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই লালবাজারের কাছে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, বিচারের দাবিতে তাঁদের কর্মবিরতি চলবে বলেই জানিয়ে দেন তাঁরা। মঙ্গলবার দুপুরে লালবাজারের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে দেয় আন্দোলনকারীদের জন্য। ব্যারিকেড সরিয়ে তাঁদের অবস্থানের জায়গা থেকে আরও ১০০ মিটার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দল লালবাজারের ভেতরে যায়। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা তাঁদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা লালবাজারের ভেতর তাঁদের সঙ্গে আলোচনা চলে কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে, তাঁর কাছে গিয়ে তাঁরই পদত্যাগ দাবি করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। বৈঠক শেষে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা সংবাদমাধ্যমে জানালেন, “আমরা কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে শেষে প্রশ্ন করি, যে ব্যক্তিগতভাবে এই ঘটনার নৈতিক দায়ভার কি উনি নিচ্ছেন ? তাতে উনি উত্তর দিয়েছেন যে উনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। তবে ওঁর কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন, তিনি তাঁর কাজে ফেল করেছেন এবং তাঁকে যদি তাঁর পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে সেই দাবিও উনি হাসিমুখে মেনে নেবেন”। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘দেখা করার পর, আমাদের ডেপুটেশন সম্মানিত যে কপি, সেই কপি আমরা তাদের পরিষ্কার যে লড়াই ১০ তারিখ, ১২ তারিখ, ১৪ তারিখে আর জি করের বুকে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা তাঁর পদত্যাগের দাবি রেখেছি। তাহলে এই পদত্যাগের যে ডেপুটেশন সম্মানিত কপি সেটা তাঁর সামনে পড়া হয়।‘ লালবাজারের সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিলেও, বিচারের দাবিতে আন্দোলন একই ভাবে চলবে বলে জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।