জেলা

ক্রেতা সেজে ডানকুনির গয়নার দোকানে ঢুকে মালিককে বেঁধে রেখে দুঃসাহসিক ডাকাতি

ক্রেতা সেজে গয়নার দোকানে ঢুকে ডাকাতি । রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনি জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় । দুটি বাইকে চেপে মোট পাঁচজন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে জানা গিয়েছে । স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বহুতলের একতলায় গহনার দোকানটিতে কয়েকজন ক্রেতা সেজে প্রথমে ঢোকে । তারপরই লুঠপাট শুরু করে । অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দোকান থেকে মূল্যবান গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা । তারা হিন্দি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই কথা বলছিল বলে জানা গিয়েছে । যদিও এখনও কত টাকার জিনিস খোওয়া গিয়েছে তা জানা যায়নি । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসেছিল । দোকানের সিসিটিভি ছাড়াও জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন থানাকে সতর্ক করা হয়েছে । এই ঘটনায় ডানকুনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা বলেন, “এলাকায় সিসিটিভি ছাড়াও দোকানেও সিসিটিভি লাগানো আছে । তবে যারা এসেছিল তারা স্থানীয় কেউ নয় । সবার মুখ খোলা ছিল । অস্ত্র ছিল হাতে । তা দিয়ে মালিককে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে । তার হাতের আঙুলের আংটিও খুলে নেওয়া হয়েছে ।” স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি কেকের দোকানে দাঁড়িয়েছিলাম । সেই সময় দেখি সোনার দোকান থেকে নেমে তিনজন একটি বাইকে করে বেরিয়ে যাচ্ছে । মুখে গামছা বাধা অবস্থায় দুটি ব্যাগ নিয়ে চলে যায় । কিছুক্ষণ বাদে দোকান মালিক মাথায় হাত দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে বলছিল আমার সোনার দোকানে লুঠ করে নিয়ে চলে গেল । আমরা কোনও কিছুই বুঝতে পারিনি ওরা এইভাবে ডাকাতি করতে এসেছে । ভিতরে যারা ছিল তারা বলেছে এদের সকলের কাছেই বন্দুক ছিল । দোকান মালিককে ইন্টারনেটের তার দিয়ে বেঁধে দিয়েছিল । ভিতরে থাকা মালিক এবং গ্রাহকদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছিল । যা ছিল সবকিছু নিয়ে চলে গিয়েছে । সেই সময় দুটো বাইক ছিল । তার মধ্যে লাল-কালো রঙের একটা পালসার । তাতে তিনজন ছিল । বাকি আরও দুজন বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল । তিনজনের সঙ্গে ওরাও চলে গেল ।”