সুপ্রিমকোর্টের ভর্ৎসনা পর নির্বাচনী বন্ড মামলায় সুপ্রিমকোর্টে ফের যাবতীয় নথিপত্র সহ হলফনামা জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই৷)৷ সেই নথিপত্র মধ্যেই রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক নম্বরও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে এসবিআইকে। এমনকি, সময়ও বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সব তথ্য জমা করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা করল এসবিআই। হলফনামা দিয়ে সেই কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে তারা। উক্ত হলফনামায় জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মতো আলফানিউমেরিক নম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে৷ গত ২১ মার্চ এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এসবিআই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এদিনের এই হলফনামায়৷ সবশেষে এসবিআই আদালতকে জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য ও নথি ছিল সবই তারা আদালতে জমা দিয়েছে৷ এক্ষেত্রে, কোনও তথ্যই গোপন করা হয়নি৷ গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে (ইলেক্টোরাল বন্ডস স্কিম) ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশনাল বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে৷ সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ থাকবে কে কত টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং কোন রাজনৈতিক দল সেখান থেকে কত টাকা পেয়েছে৷ কিন্তু, এরপরেই বন্ডের ক্রেতা ও অর্থ সংক্রান্ত তথ্য বের করার জটিলতার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিমকোর্টে তথ্য প্রকাশের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল এসবিআই৷ সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্টের নতুন করে ভর্ৎসিত হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার হলফনামা পেশ করে এসবিআইয়ের তরফ জানানো হয়েছে যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হাতে যা যা তথ্য ছিল, তা ২১ মার্চ নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য ছাড়া বাকি সব তথ্য প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে এসবিআই। ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে দাবি করা হয়েছে যে সুরক্ষা সংক্রান্ত কারণেই ওই তথ্য প্রকাশ করতে পারছে না এসবিআই।