দেশ

কানিমোঝির সাংসদ নির্বাচন বাতিলের আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত

ডিএমকে সাংসদ তথা তামিলনাডুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির কন্যা কানিমোজির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অনেকটাই স্বস্তি পেলেন ডিএমকে সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তামিলনাডুর তোতুকুড়ি থেকে ডিএমকে’র টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন করুণানিধি কন্যা। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ের করা হলফনামায় তিনি স্বামীর পারমানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ করেননি বলে অভিযোগ তুলে কানিমোজির নির্বাচন বাতিল করার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন এ সান্ত্বনা কুমার নামে এক ভোটার। মামলা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে মাদৃ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কানিমোজি। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। মাদ্রাজ হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন করুণানিধি কন্যা। আর্জিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় স্বামীর প্যান নম্বর উল্লেখ না করার ফলে নির্বাচন খারিজ করা যায় না। রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ফলে মামলা খারিজ করা হোক।’ শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অজয় কে রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন কানিমোজির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের মামলা খারিজ করে দিয়েছে।

কানিমোঝির সাংসদ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন এক ভোটার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। এই বিষয়ে মামলার শুনানি কানিমোঝির আইনজীবী আদালতে জানায়, নির্বাচনী নথিতে কানিমোঝি স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এবং তাঁর প্যান নম্বর নেই। তাই আবেদনকারীর বিবৃতি ভুল। নিজের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ভুল তথ্য দিয়েছেন আবেদনকারী। তাঁর আইনজীবী সওয়ালের সময় বলেছেন, “আদালতে কী আমার দুর্বল হওয়া উচিত? কী মামলার মোকাবিলা করতে হচ্ছে? আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আমি নির্বাচনী যে তথ্য দিয়েছি, তাতে ৫৫ শতাংশ ভোটার সন্তুষ্ট। যেহেতু তাঁর স্বামী সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। তাই তাঁর প্যানের বিস্তারিত দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।” নির্বাচনী ফর্ম ঠিক ভাবেই জমা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন কানিমোঝির আইনজীবী। কানিমোঝির আইনজীবী আরও বলেন, “কানিমোঝি স্বামীর সম্পত্তির হিসাব জানিয়েছেন। এখানে ভুল কোথায়? আপনি যদি বলেন তথ্যে ভুল রয়েছে, তা ভিন্ন মামলা। এই আবেদনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। বিদেশি স্বামীর রোজগার জানানোর জন্য আলাদা জায়গা ছিল না।” এই সব সওয়াল জবাব শুনে আদালত বলেছে, “প্রার্থীর স্বামী প্যান কার্ড হোল্ডার নন। তিনি রিটার্ন ফাইল করেন না। তাই আয়করের কোনও প্রশ্নই নেই।” এবং কানিমোঝির সাংসদ হিসাবে নির্বাচন বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।