জেলা

ঝালদায় পুরসভার কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়, পেটে মিলল বিষ!

পুরুল্যার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসি কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুর (৪২) দেহের ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাঁরা জানিয়েছেন, পূর্ণিমাদেবীর পরিপাকতন্ত্রের ভিতরে পাওয়া গিয়েছে বিষাক্ত বস্তু। তবে সেই বস্তু ঠিক কী তা রিপোর্টে জানানো হয়। এই রিপোর্টে ফের পূর্ণিমাদেবীকে খুনের তত্ব জোবদার হয়ে উঠেছে। দুর্গাপুজোর নবমীর রাতে ঝালদায় নিজের বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পূর্ণিমাদেবীকে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পরই পূর্ণিমাদেবীর ভাসুরপো মিঠুন কান্দু দাবি করেন, কাকিমাকে স্লো পয়জিনিং করে খুন করা হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে পুরসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ঝালদা শহরে খুন হন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী প্রতিনিধি তপন কান্দু। তখনও পুরবোর্ড গঠন হয়নি। সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়ে আততায়ীর গুলিতে খুন হন তিনি। সেই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল মিঠুন কান্দুর দিকে। ওই ভোটেই শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছিলেন পূর্ণিমাদেবী। অভিযোগ ছিল, ঝালদা পুরবোর্ড দখল করতে তৃণমূলের ২ জনের সমর্থন দরকার ছিল। তপন কান্দুকে চাপ দেওয়ার পরেও তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে অস্বীকার করেন। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। স্বামীর মৃত্যুর পর রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন পূর্ণিমা কান্দু। ডামাডোলের মধ্যে কয়েক মাস ঝালদার উপপুরপ্রধানও হয়েছিলেন তিনি। তবে মায়ের মৃত্যু নিয়ে পূর্ণিমা কান্দুর ছেলের প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তারই মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পূর্ণিমা কান্দুর পরিপাকতন্ত্রে বিষাক্ত জিনিসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই জিনিসটি কী তা পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়।