জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় উদ্বোধন হল লোকনাথ মন্দিরের একাধিক নির্মাণ

আজ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে আজ উত্তর ২৪ পরগনার চাকলায় উদ্বোধন হল লোকনাথ মন্দিরের একাধিক নির্মাণ কাজের। প্রতিদিন চাকলাধামে হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন এই মন্দিরটি সংস্কার করে ডিসেম্বরেই উদ্বোধন করতে। সেই মোতাবেক কাজও শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত দু’মাস ধরে পর্যটন দফতর জোরকদমে কাজ শেষ করে। রাজ্যের তত্ত্বাবধানেই এই মন্দির সংস্কারের কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার নবরূপে সেজে ওঠা সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিন চাকলায় গিয়ে লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  চাকলার সভা থেকে বার্তা দিলেন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করার।এখান থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ে একতারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বক্তব্যে নাম উল্লেখ না করে এদিন গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তাছাড়াও একাধিক বিষয়ে উল্লেখ করলেন তিনি৷ পাশাপাশি তিনি অবস্থানও স্পষ্ট করলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘মা-মাটি- মানুষ’ একজনকে নিয়ে শুধু নয়। আমাদের রক্ত এক। ধর্মকে শ্রদ্ধা করব, আপন করব, মানবতা, বিশ্বাস, আস্থা, ভরসার নাম।’ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকনাথ মন্দিরের পরিকাঠামো ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দিন বিস্তারিত বলেন৷ তিনি বলেন, ‘লোকনাথ ঠাকুরের মন্দিরে আজ আমি পুজো দিয়েছি। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি এসেছিলাম। তখন কিছু জিনিসের বাসনা ছিল। আমরা লোকনাথ ঠাকুরের উৎসব করি। মন্দির চত্বরে গেট। ভোগ ভবন, টিকিট কাউন্টার, ফুলের দোকান. পুকুরের সৌন্দর্যায়নের করা হয়েছে। প্রায় ৫ কোটি এখন খরচ হয়েছে। আগে খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৯ কোটি খরচ হয়েছে। এ ছাড়া আর এক তীর্থক্ষেত্র কচুয়াতেও কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার একাধিক জায়গায় রাস্তা উদ্বোধন হয়েছে।’রাজ্যের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্য জুড়ে একাধিক তীর্থক্ষেত্র করা হয়েছে। নানা উন্নয়ন করা হয়েছে। ঠাকুরনগর এই জেলায়, যা ঢেলে সাজানো হয়েছে। মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে নানা কাজ করা হয়েছে। আজ রাজ্য জুড়ে ৪০০ কোটির বেশি কাজ করা হয়েছে। স্কাই-ওয়াকেই প্রায় ৮০-৯০ কোটি খরচ হয়েছে। কালীঘাটেও স্কাইওয়াক হচ্ছে। তারাপীঠ সাজানো হয়েছে। যেখানে যেটা প্রয়োজন সবটাই আমরা করেছি।’মতুয়া প্রসঙ্গও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘মতুয়ার বড় মাকে আমি দেখতাম। তার চিকিৎসা করেছি। আমরা মতুয়াদের জন্য অনেক করেছি। আমরা তাদের উৎসবে ছুটি দিই। কলেজ, হাসপাতাল করেছি। কাজেই আমাদের বাংলা ধর্মীয় তীর্থস্থানের জায়গা। এই বাংলা একতার জায়গা। আমি সব অনুষ্ঠানে মিলে মিশে থাকি।’