জেলা

ফের অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম, দলীয় সমর্থকের মৃত্যুতে জনসভা থেকে ‘বদলা’র হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। গভীর রাতে রক্ত ঝরেছে সোনাচূড়ায়। প্রাণ গিয়েছে বিজেপি কর্মীর। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রাম। দোকানে-বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন লাগানো হয়েছে। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে চলছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যেই কাঁথির জনসভা থেকে বদলার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তমলুক ও কাঁথি লোকসভা ভোটের আগে আজই শেষপ্রচার। এদিন সকালে শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে জনসভা করেন। সেখান থেকেই বদলার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “আমি ভূমিপুত্র। এই ঘটনার বদলা নেব।” বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সরাসরি নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। লেখেন, “গতকাল ভাইপো নন্দীগ্রামে যে উস্কানি দিয়ে গেছে তার প্রত্যক্ষ পরিণাম হচ্ছে এই রক্তপাত। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, “বিজেপির হার নিশ্চিত। এটা বুঝতে পেরেই শুভেন্দু অধিকারী প্ররোচনা দিয়ে নন্দীগ্রামকে অশান্ত করছে।” । মহিলা বিজেপি কর্মী রথিবালা আড়ির খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সকালে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের নিশানায় থানার আইসি। অভিযোগ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানায় আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবাদ করতে থাকেন তাঁরা। বেলা বাড়তেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দূর থেকে কালো ধোঁয়া চোখে পড়ছে। একের পর এক বাড়ি-দোকানে আগুন ধরানো হয়েছে বলে খবর। বেশকিছু রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। নন্দীগ্রাম – ভাঙাবেড়া সড়কে বিজেপির পথ অবরোধ ছিল। লাঠিচার্জ করে পুলিশ তা উঠিয়ে দিয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, র‌্যাফ। সোনাচূড়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবকুমার রায় সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে