জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের পরপরই পুরষ্কার হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে, জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেছিল বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের প্রস্তাবিত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে গত ৪ জানুয়ারি শুভেন্দুর নিয়োগে সম্মতি দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি। নিয়োগপত্র অনুযায়ী তাঁর মেয়াদ ছিল ৩ বছর। তাঁকে অস্থায়ী বা পার্ট টাইম চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়। তবে এই পদই আচমকাই ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা এখনও জানা যায়নি। যদিও দলের তরফে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি ‘নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা বাড়ছে। সেই কারণেই শুভেন্দু ইস্তফা দিয়েছেন।
শুভেন্দুর আচমকা এই ইস্তফার কারণ কী?
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, তিনি এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হচ্ছেন। বিজেপি সরকারিভাবে তাঁর প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা না করলেও, তিনি যে নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকেই ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হতে চলেছেন, তা মোটামুটি নিশ্চিত। সেই জন্যেই এই পদত্যাগ। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারনা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমলূ ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিল তার কিছু নিজস্ব লোক যাদের বিজেপিতে টিকিট পাইয়ে দেবে বলে! অথচ দেখে যাচ্ছে যাদের কে নিয়ে আসলেন তাদের নামই আলোচলায় উঠছে না এবং মেদিনীপুরের প্রার্থী তালিকা তৈরি হচ্ছে অথচ সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীও নেই। তাই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ! অন্যদিকে এও জল্পনা রটে যে বিজেপির নয়া পোস্টার বয় জনসভা গুলিতে লোক ভরাতে ব্যর্থ । এমনকি ফাকা সভা দেখে মঞ্চ ছেড়ে চলে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। এছাড়াও শুভেন্দু একের পর এক ফ্লপ সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন। এও জল্পনা রটে যে শুভেন্দুর অঙুলি হেলনেই নাকি সিবিআই হানা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে! তাহলে কি এই সব কারণের জেরেই আচমকা ইস্তফা? উঠছে প্রশ্ন!