দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে আচমকা তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠান্ডা শুরু হয়েছে সকাল থেকেই। দুপুর ১টা বাজতেই সান্দাকফু, ফালুট, তংলু, পশুপতি সীমান্ত এলাকা জুড়ে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়। অন্যদিকে মিরিকের ২০-২৬ কিমি দূরে শিলাবৃষ্টিতে রাস্তাঘাট সাদা হয়ে যায়। সিকিমের লাচেন, লাচুং থেকে পেলিং, রাবাংলা, ছাঙ্গু সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত হয় ব্যাপক হারে। জিটিএ’র পর্যটন দপ্তর থেকে বিনয় মোক্তান জানান, ‘সান্দাকফুসহ আশাপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত হয়েছে। সান্দাকফুতে ডিসেম্বরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তুষারপাতের ঘটনা ঘটল। আপাতত গোটা পাহাড়ে কনকনে ঠাণ্ডা। রীতিমত জুবুথুবু অবস্থা।” আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গিয়েছে, হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টি হতে পারে। এমনকি শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ইতিমধ্যে পাহাড় পাদদেশের শিলিগুড়ি সহ আশাপাশের জেলায় ঠাণ্ডা হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। এতে সমতলেও তাপমাত্রা অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যেভাবে তাপমাত্রার পতন হচ্ছে তাতে দার্জিলিং শহর কিম্বা ঘুম ও টাইগার হিলেও তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে উত্তর সিকিমের লাচেন, লাচুং ও পেলিংয়ের তুষারপাতে গোটা এলাকা সাদা ধবধবে হয়ে উঠেছে। এইসব এলাকায় যে সমস্ত পর্যটকরা রয়েছেন, তাঁরা দারুণ উপভোগ করছেন তুষারপাত।