ড্রাগ ওভারডোজেই মৃত্যু, সামনে এল প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট
বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের শরীরে ভোঁতা কিছু জিনিস দিয়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমন আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে, আঘাতের ধরন নিয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। পুলিশ ইতিমধ্যেই হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালির দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। টিকটক খ্যাত সোনালির ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গোয়াঁ এবং অভিনেত্রীর গোয়া সফরের এক সঙ্গী সুখবিন্দর ওয়াসিকে আঞ্জুনা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রথমে হার্ট অ্যাটাকে সোনালির মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর সঙ্গীরা জানালেও রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণকারী অভিনেত্রীর ভাই রিঙ্কু ঢাকা গোয়া পুলিশের কাছে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এই দুজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন। ভাইয়ের অভিযোগ, গত

২৩ অগাস্ট মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও সোনালি তাঁর মা, বোন ও জামাইবাবুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সোনালির ব্যক্তিগত সহকারী তাঁর খাবারে মাদক মিশিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে রিঙ্কুর অভিযোগ। এমনকী সোনালির গোয়া যাওয়ার কোনও কথাই ছিল না, পূর্ব পরিকল্পনা করে তাঁকে গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ওখানে কোনও ছবির শ্যুটিং হয়নি। দুদিনের জন্য হোটেলে দুটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশ সোনালির দুই সঙ্গীকে থানায় ডেকে পাঠায় এবং পরে তাদের গ্রেফতার করে। রিঙ্কুর অভিযোগ, এই দুজনের একজন তিন বছর আগেও সোনালির খাবারে মাদক মিশিয়ে তাঁকে আচ্ছন্ন করে যৌন নিগ্রহ করেছিল।
অন্যদিকে, তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত ড্রাগ নেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে সোনালির ৷ সুধীর সাঙ্গওয়ান এবং সুখবিন্দর সিং নামে দুই ব্যক্তি সোনালির সঙ্গে গোয়ায় ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুধীর এবং তাঁর সহযোগী সুখবিন্দর সোনালির সঙ্গে একটি ক্লাবে পার্টি করছিল । আইজিপি ওমভীর সিং বিষ্ণোই জানিয়েছেন, একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তদের একজন সোনালিকে জোর করে একটি তরল পদার্থ খাওয়ান । পরে সুখবিন্দর এবং সুধীর স্বীকার করেছে যে তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ওই তরলে একটি বিষাক্ত রাসায়নিক মিশিয়ে সোনালিকে পান করিয়েছিল ৷


