মারণ রোগ ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিসের মতো রোগের ভেজাল ওষুধ উদ্ধার কলকাতা থেকে। বাজেয়াপ্ত ভেজাল ওষুধের বাজারমূল্য আনুমানিক 6 কোটি 60 লক্ষ টাকা ৷ ঘটনায় ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অভিযুক্ত মহিলাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভারত জুড়ে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি 111টি ওষুধকে নিম্নমানের বলে তকমা দেওয়া হয়েছে ৷ সেই ঘটনার কয়েকদিন পর এই অভিযান চালানো হয় । ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে কলকাতায় যৌথ অভিযান চালায় সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ইস্ট জোন এবং পশ্চিমবঙ্গের ড্রাগস কন্ট্রোল ডিরেক্টরেট ৷ আর তাতেই মেলে সাফল্য ৷ গত 24 ঘণ্টায় সরবরাহকারী সংস্থার থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকার অ্যান্টি-ক্যানসার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ভেজাল ওষুধ ৷ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওষুধগুলির প্যাকেটে লেখা রয়েছে সেগুলি আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়েছে ৷ তবে ভারতে ওইসব ওষুধগুলি আমদানি করার কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি সরবরাহকারী সংস্থা ৷ যার ফলে ওষুধগুলো জাল হিসাবে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ তদন্তকারী দল বেশকিছু খালি প্যাকিং সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেছে ৷ সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্তার মালিককেও ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাজেয়াপ্ত ওষুধগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে । বাকি বাজেয়াপ্ত ওষুধ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে নিরাপদ হেফাজতে রয়েছে । ঘটনা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে ৷ নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকার জিরো-টলারেন্স নীতি নিয়েছে ৷ তাই সিডিএসসিও এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এই বিষয়ে কাজ করছে ও জাল ওষুধের উদ্ধার করছে ৷