শক্তি বাড়িয়ে অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বিপর্যয়। আগামী কয়েকদিনে ভারতের পশ্চিম উপকূলে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরেও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকবে। এর জেরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের দাপটে পূর্বমধ্য আরব সাগর, পশ্চিমমধ্য আরব সাগর, দক্ষিণপূর্ব আরব সাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিম আরব সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় দমকা হাওয়া বইবে। হাওয়ার গতি সর্বোচ্চ ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। এদিকে আজ মায়ানমার উপকূল লাগোয়া পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ তামিলনাড়ু ও পশ্চিম শ্রীলঙ্কা লাগোয়া দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইবে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত আরব সাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে ক্রমেই ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়তে থাকবে। ১০ জুন ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পার করে যেতে পারে। এদিকে ১০ জুন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরেও ‘সিস্টেম’-এর জেরে ঝোড়ো হাওয়া জারি থাকবে। তবে বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার গতি সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা থাকবে। এই আবহে মৎস্যজীবীদের দুই সাগরেই যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গোয়া থেকে ৮৮০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মুম্বই থেকে প্রায় ১০০০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, গুজরাতের পোরবন্দর থেকে প্রায় ১১০০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং করাচি থেকে প্রায় ১৪০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। এটি ধীরে ধীরে ভারতের পশ্চিম উপকূলের সমন্তরাল ভাবে উত্তরে গুজরাটের দিকে এগিয়ে যাবে।