নির্বাচনের আগে জেল থেকে পত্রবোমা ফাটালেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখে রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সারদা কর্তা। কে নেই সেই তালিকায়, রাজ্য রাজনীতিতে যিনি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি চর্চায় সেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায়, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরির নামও রয়েছে চিঠিতে। কারা দফতর সূত্রে খবর, গত ১ ডিসেম্বর সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সারদা চিটফান্ডের ব্য়বসা চালানোর জন্য কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরিও। অধীর চৌধুরি নাকি ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত। বেএকদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে কত টাকা দিয়েছেন তা মনে করতে না পারলেও, মোটা অঙ্কের টাকাই তাঁকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতে স্বাক্ষরও রয়েছে সুদীপ্ত সেনের। এই চিঠি কারা দফতরের মাধ্যমে পৌঁছেছে এডিজির কাছে। তারপর সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তা পাঠানো হয়েছে। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ ভোটের মুখে কেন চিঠি লিখে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করতে গেলেন সুদীপ্ত সেন? এর পিছনে কি কোনও রাজনীতি আছে? চিঠির বয়ান সারদাকর্তারই লেখা কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে হাতের লেখা পরীক্ষা করবে সিবিআই। জানা গিয়েছে, গ্রাফোলজিস্টের কাছে এই চিঠি পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। বঙ্গে ভোটের দামামা বাজতেই নানান রঙ্গের আবির্ভাব হচ্ছে প্রতিদিন।