দেশ

Electoral Bonds : ‘২৬ দিন ধরে কী করছিলেন?,’ নির্বাচনী বন্ড কাণ্ডে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিমকোর্টের, আগামীকালের মধ্যেই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ এসবিআই-কে

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই-এর আর্জি মানল না সুপ্রিম কোর্ট৷ বাড়ানো হল না নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের মেয়াদ৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, আগামিকাল, অর্থাৎ, ১২ মার্চের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ড কেনা এবং কোন দল কত টাকা ব্যাঙ্ক মারফত এনক্যাশ করেছিল, সেই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে হবে আদালতকে৷ শুধু তাই নয়, পাশাপাশি, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, আগামিকালের মধ্যেই তাদের ওয়েবসাইটে এই নির্বাচনী বন্ড লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপডেট করতে হবে৷ নির্দেশ সময়মতো মানতে বাধ্য হলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ গত ১৫ ফেব্রুয়ারিই কেন্দ্রের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে (ইলেক্টোরাল বন্ডস স্কিম) ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশনাল বেঞ্চ৷ পাশাপাশি, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৩ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এই বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে৷ সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে উল্লেখ থাকবে কে কত টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে এবং কোন রাজনৈতিক দল সেখান থেকে কত টাকা পেয়েছে৷কিন্তু, এদিন শুনানির শুরু থেকেই এসবিআই কর্তৃপক্ষকে কার্যত তিরস্কার করতে থাকে আদালত৷ ব্যাঙ্কের আইনজীহী হরিশ সালভের কাছে আদালত প্রশ্ন করে, ‘‘গত ২৬ দিন ধরে তাহলে কী করছিলেন? আর কতটা কাজ বাকি?’’ উত্তরে আইনজীবী জানান, বন্ডের ক্রেতার পরিচয় গোপন রাখার কারণে বিশেষ ভাবে এই বন্ড কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তাই কে কত টাকার বন্ড কিনেছিলেন, তা বের করা যথেষ্ট জটিল বিষয়৷ কিন্তু, ব্যাঙ্কের যুক্তি মানতে চায়নি কোর্ট৷ সব শেষে মেয়াদ না বাড়িয়ে আগামীকালের মধ্যেই তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত৷