দেশ

মিলল না স্থগিতাদেশ, সিএএ কার্যকর করা নিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিমকোর্ট

মিলল না স্থগিতাদেশ। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ (সিটিজেনশিপ অ্য়ামেন্ডমেন্ট অ্য়াক্ট) বলবৎ করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট ৷ আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ আগামী ৯ এপ্রিল এই নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৷ মঙ্গলবার সিএএ-র বিরোধিতা করে যে মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়। মামলাগুলি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি হিসাবে মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বলবৎ হওয়া বিধিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে ২০০টি মামলা হয়, তার প্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে চার সপ্তাহ সময় চান তিনি। সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, “সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না।” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতা করে গত এক সপ্তাহের মধ্যে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করেছিল কেরল সরকার। রবিবার তারা সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্য আদালতে যায়। পিনারাই বিজয়নের সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল, তারা রাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেবে না। শনিবার সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এ ছাড়া কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, কেরলের আঞ্চলিক দল আইইউএমএল-এর তরফে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।