কলকাতা

ফের ধাক্কা খেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, সুপ্রিমকোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে পালটা নির্দেশের উপর এবার স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের

‘রিপোর্টে পাঠানো অনুবাদ কপি সহ কোন রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে সেটা দেখতে চাই’। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সেই নির্দেশের উপর এবার স্থগিতাদেশ করল শীর্ষ আদালত। রাতেই বিশেষ শুনানির পর এই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ৷ একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ যদিও নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলা থেকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নাকি কোনও নির্দিষ্ট মামলা থেকে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এর পরেই তাঁর দেওয়া সাক্ষাৎকারের যে অনুবাদ ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে নিয়োগ মামলা থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন, তা স্বচক্ষে দেখতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সাক্ষাৎকারের যে অনুবাদ সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল, সেটি তাঁর কাছে পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ রাত বারোটার মধ্যে এই সমস্ত নথি এবং রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ এর জন্য তিনি আজ মাঝরাত পর্যন্ত হাইকোর্টে নিজের চেম্বারে অপেক্ষা করবেন বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের পরই রাত আটটা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ শুনানির বন্দোবস্ত হয়৷ সেখানেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে বিচারপতি বোপান্না এবং বিচারপতি কোহলির বিশেষ বেঞ্চ ৷ সুপ্রিম কোর্টের এই বিশেষ শুনানি চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও মন্তব্য করেন, সাক্ষাৎকারের অনুবাদ চেয়ে পাঠানোর যে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা তাঁর উচিত হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে আর্জি জানান তিনি। সলিসিটর জেনারেলের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন দুই বিচারপতিও।নির্দেশ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতিও বলেন, বিচারব্যবস্থার শৃঙ্খলাপরায়ণতার কথা ভেবে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেন দুই বিচারপতি। নির্দেশের কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।