কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে তদন্ত করানো হোক কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে। এই দাবিকে সামনে রেখেই শুভেন্দু চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে। চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। রাজ্যে ভোটার স্তিপের মতো ভুয়ো টিকার কুপন বিলি করছে তৃণমূল। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্য পশ্চিমবঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ টিকাকরণে রেকর্ড গড়ছে আর আমাদের রাজ্য পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের অনেক জায়গায়ই চলছে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প। কসবা, সোনারপুর, আমহার্স্ট স্ট্রিট সহ একাধিক এলাকায় ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে মানুষকে। অথচ টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এইসব ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পগুলি চলছে সব রাজ্য সরকরারে মদতেই। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ সব জানে। এখন মিথ্যা নাটক করছে। ভুয়ো টিকান নেওয়ার ফলে মানুষ মারা গেলে তো করোনার টিকা থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। কেউ টিকা নিতে আসবে না। আর ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে কী টিকা দেওয়া হয়েছে তা জানা দরকার। হামের টিকা, জল নাকি বিষাক্ত ওষুধ দেওয়া হয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে তা এখনও কিছুই জানাচ্ছে না রাজ্য সরকার। জনস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।’ এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার টিকার তদন্ত নিয়ে গড়িমসি করলে আমরা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করব। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু জানান, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সাংসদ শান্তনু সেন, কাউন্সিলর বৈশ্বনর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবকে একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত। সেইসব ছবিও রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করিয়ে প্রকৃত সত্যটা সামনে আনা হোক।