এবার থেকে সব স্কুলে বাংলা ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক। প্রথম ভাষা ও দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা ও ইংরেজি নিতেই হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ রাজ্যের শিক্ষানীতি অনুমোদিত হয়। সেই শিক্ষানীতিতেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা এবং ইংরেজি পড়তেই হবে। শুধু তাই নয়, তৃতীয় ভাষা হিসেবে যে অঞ্চলে যে ভাষার প্রয়োগ বেশি বা কার্যকরিতা বেশি সেই অঞ্চলে সেই ভাষা পড়া যাবে। তা হিন্দিও হতে পারে, সাঁওতালিও হতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলগুলিতেও বাংলা ভাষা পড়াতেই হবে। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবার কমিশন গঠন করল রাজ্য। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে হবে এই কমিশন। যখন তখন স্কুলের বেতন বাড়ানো, একাধিক অভিযোগকে গুরুত্ব নিয়ে দেওয়া পুরোটাই আসবে এই কমিশনের আওতায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিশন গঠনের সিলমোহর। শীঘ্রই রাজ্যের তরফে কমিশনের সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য এবার একাধিক গাইডলাইন দিয়ে দেবে রাজ্য এই কমিশনের মাধ্যমে। বিভিন্ন সময় বেসরকারি স্কুলগুলো ফি বৃদ্ধি করে থাকে। যার প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক-অভিভাবিকারা। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার বা রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা বিভিন্ন সময় কার্যকরী করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই কমিশন। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন। তবে এই কমিশনের বেসরকারি স্কুলগুলিরও প্রতিনিধি থাকবে।