জেলা

উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর দিন SFI-এর ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুরে তীব্র উত্তেজনা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ

সোমবার (৩ মার্চ) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনই রাজ্য জুড়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। এসএফআই-এর ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালেই উত্তপ্ত হলো মেদিনীপুর কলেজ। এ দিন সকালে সেখানকার কয়েকজন পড়ুয়া কলেজে ঢুকতে চাইলে তাঁদের বাধা দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে এসএফআই-এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টিএমসিপির জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এসএফআই সমর্থকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন টিএমসিপির সমর্থকরা। তা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। এ দিকে অশান্তির আশঙ্কা করে আগে থেকেই মেদিনীপুর কলেজ চত্বরে বিরাট পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল। পরিস্থিতি জটিল হতেই কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেদিনীপুর কলেজের ঠিক পাশেই রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্র মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল। আর তার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে অন্য একটি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (বালক)। ফলে মেদিনীপুর কলেজের সামনে কলেজিয়েট রোডের সামনে সংঘর্ষ, অশান্তিকে কেন্দ্র করে আশঙ্কায় পড়েন বহু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকরা। সাময়িক ভাবে সেখানে যানজটও তৈরি হয়। যদিও তৎপরতার সঙ্গে রাস্তা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। অশান্তি ঠেকাতে সেখানে সকাল থেকেই রয়েছেন মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) পিনাকী দত্ত এবং পুলিশের বড় বাহিনী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে কেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য সমস্ত পদক্ষেপ পুলিশের তরফে করা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কলেজের সামনে অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে এসএফআই নেত্রী শাঁওলী দত্ত টিএমসিপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, বহিরাগতরা তাঁদের সংগঠনের অনেককে মারধর করেছে। পাল্টা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, যাঁরা কলেজে প্রবেশ করতে পারছিল না, তাঁদের কথা ভেবে শুধুমাত্র গেট খোলানো হয়েছে।