কলকাতা

অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আরও ভোটের কাজে মোতায়েন নয়, নয়া দাবিতে কমিশনে তৃণমূল

নন্দীগ্রামে বিপুল মার্জিনে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন নন্দীগ্রামের বয়ালে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাংলার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। মমতার করা সেই অভিযোগই এবার সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে এল তৃণমূল । শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন, নাদিমুল হক, নয়না বন্দ্যোপাধ্য়ায়, সুখেন্দু শেখর রায়, যশবন্ত সিনহা। কমিশন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত বলেন, নন্দীগ্রামে বিপুল মার্জিনে জিতবেন মমতা। ধারে কাছে কেউ আসবে না। অনেক অনিয়ম হয়েছে। তার পরেও ঐতিহাসিক মার্জিনে জিতবেন মমতা।তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের যেন আগামী দিনে আর ভোটের কাজে না মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তৃণমূলের এক শীর্ষস্তরীয় প্রতিনিধিদল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের বিদায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের শীর্ষনেতা যশবন্ত সিনহা, সাংসদ দোলা সেন, বিদায়ী বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসকদলের তরফে দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে মোট ৩০০টিরও বেশি অভিযোগ কমিশনে জানানো হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনারও। তৃণমূলের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। বহু জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছে। আমি এর আগে কোনওদিন এভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ভোট হতে দেখিনি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বুথে ইভিএম বিকল হওয়ার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাসক শিবির। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘৩০০টি নির্দিষ্ট অভিযোগ আমরা জমা দিয়েছি। এই প্রথম ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে সহযোগিতা করছে। যেখানে বিজেপি জোর করে ভোট করার চেষ্টা করছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব। আমাদের দাবি, যেসব কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদের যেন পরবর্তীকালে ভোটের কাজে মোতায়েন করা না হয়।’