বাঁকুড়া: কর্মীদের আগেই জনতার দুয়ারে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার খাতড়ায় একটি আদিবাসী গ্রামে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের খবর জানান তিনি। গ্রামের বাসিন্দারা সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ খবর নেন। তাঁদের আরও সরকারি প্রকল্পের কথা জানান। এক কথায় একুশের ভোটের আগে জনতার দরবারে গিয়ে জনসংযোগের কাজ শুরু করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই কর্মসূচীতে যোগ দেওয়ার আগে মুকুটমণিপুর থেকে খাতড়া যাওয়ার পথে সরদার পাড়া নামে একটি আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়েন মমতা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গ্রামের ভেতরে যান। আদিবাসী পরিবারের একেবারে ঘরে ঢুকে তাঁদের উঠোনে খাটিয়ার উপর বসে পড়েন। সেখানে বাড়ির মা-বোনেদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা ঠিক মতো পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ খবর নেন। আরও কি কি সুবিধা তাঁরা পেতে পারেন সেকথা জানান তিনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কী সুবিধা পাবেন তাঁরা সেসম্পর্কে বিস্তারিত জানান। রেশনে চাল কেমন পাচ্ছেন কতটা করে পাচ্ছেন তা নিয়েও খোঁজ খবর নেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২১ সালের জুন মাসের পরেও ফ্রি-তে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। কিছু দিন আগেই বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে আদিবাসী ঘরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজনকে এদিন খাতড়ার প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবটাই ‘নাটক, ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “ফাইভ স্টার হোটেল থেকে বাসমতি চালের ভাত নিয়ে এসে দলিতদের ঘরে বসে খায় ওরা। যদিও তোমার ঘরে বসে খাব বলেছিলেন! রান্নার সময় দেখলাম ধনেপাতা কাটা হচ্ছে। অথচ উনি খেলেন পোস্তর বড়া! যে তরকারি রান্না হল, সেই খাবার খেল না! মানুষ এখন এসব দেখতে পায়। মানুষ ওদের ভাঁওতাবাজি ধরে ফেলেছে।” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অমিত শাহের আসার জন্য আদিবাসী পরিবারের দালান রং করা হয়েছিল। স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। কিন্তু এদিনও খাতড়ায় আসার পথে একটি তফশিলি গ্রামে যান। তারজন্য কোনও রং করতে হয়নি, স্যানিটাইজ করতে হয়নি। ওই গ্রামে গিয়ে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভাব-অভিযোগ সম্বন্ধে খোঁজখবর নেন। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কিনা, সে খোঁজ নেন। তাতে তাঁর কাছে সেখানকার বাসিন্দারা পাকা বাড়ির আর্জি জানান বলে সভায় উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।