কলকাতা

পুজোর আগেই শহরের রাস্তায় হুড খোলা দোতলা বাস, আগামীকাল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতাঃ পুজোর আগেই শহরে রাস্তায় হুড খোলা দোতলা বাস। ঠিক লন্ডনে যেমনটা দেখা যায়, এবার তা এই কলকাতাতেও দেখা যাবে। আগামীকাল, মঙ্গলবার দোতলা বাসের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গিয়েছে, আগামিকাল, মঙ্গলবার এই বাসের শুভ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত এই বাসগুলি পরিবহণ দফতর নয় চালাবে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম। তবে বাসের ড্রাইভার ও কনডাক্টর দেবে পরিবহণ নিগম। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক বাসগুলি বছর খানেক আগে কিনেছিল পরিবরণ নিগম। সেই বাসগুলি এবার পরিবহণ নিগম পর্যটন নিগমের হাতে তুলে দিল। তবে কোন রুটে, কীভাবে, কত ভাড়ায় এই বাস চলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, এই সব কিছু এখনও ঠিক হয়নি।নিগমের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন,

‘কাল মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করার পরেই সবকিছু ঠিক হবে। আপাতত কলকাতার পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই বাস চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, শীঘ্রই একটি ট্রামও চালানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’ জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক বাসে সিসিটিভি, প্যানিক বাটন, অটো ডোর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র সবই থাকবে। সুবিধা মতো ছাদ খোলা যাবে। নতুবা ছাদের উপর ছাউনি থাকবে, যা দিয়ে বাইরে দেখা যাবে। বাসে থাকবে একটিই দরজা। তা খুলে ভিতরে ঢুকে উপরে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হবে। মোট আসন রয়েছে ৫০-৫২টি। তার মধ্যে গোট ১৮ উপরের তলায়। নিচে বাকি আসনগুলি রয়েছে। এই দুটি বাস কিনতে রাজ্যের খরচ পড়েছে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। জামসেদপুরের বেবকো সংস্থা এই বাস দুটি তৈরি করেছে। মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের দিন তিনেকের মধ্যেই সবকিছু

চূড়ান্ত হয়ে যাবে। ফলে আশা করাই যায় পুজো থেকেই এই দোতলা বাস ফিরবে শহরের রাস্তায়।ধাপে ধাপে মোট ১০ টি দোতলা বাস নিতে চায় রাজ্য পরিবহন দফতর।সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ রোড ট্রান্সপোর্ট-এর (সিআইআরটি) ছাড়পত্র পেয়েছে রাজ্য। এই ছাড়পত্র না মিললে অবশ্য বাস পথে নামানো যায় না। তবে কলকাতায় এই বাস আপাতত চালানো হবে শুধু সিটি ট্যুরের জন্যে।দু’টি বাসই হুডখোলা বা ছাদ খোলা থাকবে। বর্ষা বা গরমে ছাদে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে নির্মাণসংস্থার সঙ্গে নিগম-কর্তাদের কথা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ এক ধরণের শিট ব্যবহার করা যাবে। পরিবহণ দফতর আবার দোতলা বাস চালাতে আগ্রহী। অনেকটা লন্ডনের সিটি ট্যুরের ধাঁচে শহরে পর্যটনের ক্ষেত্রে এই বাস ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। এ বার এই বাস দিয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে করছেন দুই দফতরের আধিকারিকরা।