বচ্চন পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হল মুম্বই পুলিশকে। মঙ্গলবার সংসদে ভাষণের পর থেকে টুইটারে ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছেন জয়া বচ্চন। ঝুঁকি না নিয়ে আগেভাগেই মুম্বইয়ের বাংলো ‘জলসা’-এর সামনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করল মহারাষ্ট্র সরকার।
সোমবার লোকসভায় বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ বলিউডে মাদকাসক্তির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ৭২ বছরের সাংসদ ও অভিনেতা জয়া বচ্চন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কিষাণকে একহাত নিয়ে জয়া বলেন, ‘যে থালায় খান, সেখানেই ছিদ্র করেন।’ এরপরে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেও আঙুল তুলেছেন সরাসরি। তাঁর মতে, আর্থিক দুরবস্থা এবং বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতেই ছবির জগতের দিকে আঙুল তুলে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশে এই বিনোদন জগত রোজ সরাসরি পাঁচ লক্ষ মানুষের রুজি জোগায় এবং ঘুরপথে ৫০ লক্ষ মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা করে। যখন দেশে অর্থনীতির অবস্থা বেহাল এবং বেকারত্ব চরমে, তখন মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য আমরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সরকারের অসহযোগ দ্বারা তাড়িত হচ্ছি। কিন্তু যাঁরা (কঙ্গনা, রবি কিষাণ) এই ছবির জগতেই নাম করেছেন, তাঁরাই এখন একে নর্দমা বলছেন। আমি একেবারেই সহমত নই। আমি আশা করব, সরকার এই লোকজনকে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে বারণ করবে।’ এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে বিজেপি সমর্থকেরা। নেটদুনিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছে। এরপরেই কোনওরকম সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বচ্চনদের জুহুর বাংলো ‘জলসা’-এর বাইরে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
যদিও বলিউড তারকা সহ বহু সাধারণ মানুষ জয়া বচ্চনের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রশংসা জানিয়েছেন।