করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় চিনকে টপকে গেল ভারত। সেই সঙ্গে সংক্রমণের তালিকায় উঠে এল বিশ্বের মধ্যে ১১তম স্থানে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮ জন। শনিবারই সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৮৫ হাজার ৯৪০। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবেও নতুন সংক্রমণের মাত্রাটা লাফিয়ে বেড়েছে অনেকটাই। ৩৯৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই সময়ের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭৫২। তবে ভারতের করোনায় মৃত্যুর হার চিনের তুলনায় কম। চিনে যেখানে মৃত্যুর হার ৫.৫, সেখানে ভারতের ৩.২। ইতিমধ্যেই ভারতের ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৩৫.০৮। দেশের মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৬৮ শতাংশ ১৮টি শহরের। তার মধ্যে শুধু ৫০ শতাংশ আক্রান্ত মুম্বই, দিল্লি, আমেদাবাদ, পুণে এবং চেন্নাইয়ে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। মৃত্যু হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সাড়ে ৬ হাজার রোগী। মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। এর পরই রয়েছে গুজরাট। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে চলেছে। মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ৯৩১। মৃত্যু হয়েছে ৬০৬ জনের। অন্যদিকে, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৯৫। মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। এরপরে রয়েছে রাজস্থান (৪৭২৭), উত্তরপ্রদেশ (৪০৫৭)। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৯১০। সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্ত ১৪ লক্ষ ৪৩ হাজার। গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৬৯৬ জনের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৮৭৫০০।