নয়াদিল্লিঃ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম মৃত্যুর হার দেশে । আজ মন কি বাতে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে একথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী । তিনি বললেন, “সংকটকালে উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছে দেশবাসী । অন্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম । আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ।” পাশাপাশি মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তাঁর বার্তা, “আর্থিক ক্ষেত্রে একটা বড় অংশ খুলে গেছে । ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরেছে দেশ । তবে, আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রয়েছে। লকডাউনের শুরু থেকেই একে একে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র সামনে এসেছে, মৃত্যুও বেড়েছে সমান তালে । এই পরিস্থিতিতে অনেকেই লকডাউনর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । আজ এই প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গরিব ও শ্রমিকরা সবচেয়ে আঘাত পেয়েছে । পরিযায়ীদের কষ্টের কথা ভাবতে হবে । তাঁদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে । এখনও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলছে দেশে । যা ক্ষতি হয়েছে তার জন্য দুঃখিত ।” কোরোনা পরিস্থিতিতে যেখানে দেশের বেশিরভাগ মানুষই কোনও না কোনও সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়াতে, মানুষের সেবা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । আজ তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে নিরলস কাজ করেছেন বেশ কয়েকজন মানুষজন । সেবাই পরম ধর্ম তা মেনে চলতে হবে ।” তিনি আরও বলেন, “আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করতে হবে । আত্মনির্ভর মন্ত্র ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ।আত্মনির্ভর ভারত অভিযান দেশকে দৃঢ় করবে।” আমফানের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ । ক্ষতি হয়েছে ওড়িশারও । মন কি বাত-এ আজ এই বিষয়টি জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেন তিনি । বলেন, “আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ । চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । ওড়িশাও ক্ষতিগ্রস্ত । আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেছিলাম । ওখানকার মানুষ যেভাবে লড়ছেন তা প্রশংসনীয় ।” চাষিদের ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, “একদিকে পূর্বভারত যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জর্জরিত, সেখানে উত্তর ভারতও পঙ্গপালের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত । সবদিক থেকে চাষিদের অবস্থা খারাপ । এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে ।” রেল পরিষেবা নিয়ে বলতে গিয়ে শেষে তিনি বলেন, “সামনের সারিতে থেকে লড়ছেন রেলকর্মীরা । কোরোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ । “